চট্টগ্রাম শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪

নাগরিকবান্ধব নগর চাই

৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:১৩ পূর্বাহ্ণ

আমাদের প্রাত্যহিক জীবন-জীবিকা নির্বাহ কল্পে শহরে যাতায়াতের কোন বিকল্প নেই। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা- অফিস-আদালতে শহরের রাস্তা অলিতে-গলিতে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা। আজ আমাদের প্রিয় নগর যেন এখন মৃত্যুপুরীর জাল বিছানো। ঘর থেকে বের হয়ে আবার নিরাপদে ঘরে ফেরত আসবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।

শহরের কোন বিল্ডিং এ যদি দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে বেরিয়ে আসে অবৈধভাবে দখলকৃত কিংবা কর্তৃপক্ষের নিয়ম না মেনে বিল্ডিং নির্মাণ প্রসঙ্গ। শহরের প্রতিটি বিল্ডিং ত্রুটিযুক্তভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং প্রশাসনের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের দুর্বৃত্তায়নের কারণে শহরের রাস্তাগুলো সরু হয়েছে খালগুলো ভরাট হয়েছে এবং কর্ণফুলী নদীর জৌলুস হারিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে আজ চট্টগ্রামে জলাশয়ে নিমগ্ন থাকে। ফুটপাতে অবৈধ দোকানদারদের জন্য বাধ্য হইয়া রাস্তায় হাঁটতে হয়। প্রতিটি যানবাহনে গ্যাস সিলিন্ডার যেন মৃত্যুকে হাতে নিয়ে চলাচল। সন্তানরা ঘরে না ফেরা পর্যন্ত অভিভাবকরা থাকে চরম উৎকণ্ঠায়। রাস্তায় বের হলে ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি, গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও সড়ক দুর্ঘটনায় সাধারণ পথচারী নিয়মিত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। শহরমুখি মানুষের চাপের কারণে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সম্প্রতি পাথরঘাটার ঘটনাটি দুঃখজনক এবং অনাকাক্সিক্ষত। তাই উপজেলাগুলোতে শিল্প-কারখানা ব্যবসা বাণিজ্য স্থানান্তরিত করে উপশহরে রূপান্তরিত করলে চট্টগ্রাম নগরের উপর চাপ অনেকাংশে কমে যেতো। আমরা চাই নিরাপদ চলাফেরা এবং নিরাপদ জীবন। আর কারো জীবন যেন অকালে জড়ে না পড়ে এ কামনা করি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট