চট্টগ্রাম শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪

সুন্দরবন রক্ষায় চাই সুচিন্তিত কর্মসূচি

৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:১৩ পূর্বাহ্ণ

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডর, ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলা এবং সবশেষে চলমান বুলবুলের আগ্রাসী থাবা হতেও বাঁচিয়ে দিল ‘সুন্দরবন’। সুন্দরবনের গাছপালায় বাধা পেয়ে দুর্বল ‘বুলবুলের’ বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২০ কিলোমিটার কমে যায়। জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতাও কমে আসে। আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ বলেন, সুন্দরবনের গাছপালায় বাধা পেয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বেশ দুর্বল হয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক দেবাশীষ কু-ু বলেন, ‘প্রকৃতি হলো একটা কোল আর সে কোলে বসেই আমরা খাই-দাই আবার নাবালক বাচ্চার মতো মলত্যাগও করে যাচ্ছি। পরিবেশবাদীরা মনে করেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাট জেলায় বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে রামপালে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গ্রীষ্মম-লীয় বনাঞ্চলটি ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে,এ প্রসঙ্গে দেশের বিশিষ্ট পরিবেশবাদী ব্যক্তিত্ব সুলতানা কামাল বলেন, সরকার যে বলছে ঐ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করলে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না, তার বাস্তবসম্মত ও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ জাতির সামনে তাদের তুলে ধরতে হবে। সুতরাং দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে আর বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সুন্দরবনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে,সুন্দরবন ধ্বংস হলে ‘বাংলাদেশে চিরজীবী হোক’ এই বাক্যটা শুধুই মুখের বাক্য হয়েই থাকবে আর কিছুই নয়। তাই দেশের সর্বস্তরের জনগণ ও সরকারের সজাগ দৃষ্টি কামনা করছি।

নাবিল হাসান
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট