চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দুর্নীতি রোধে নারীও সমান অংশীদার হতে পারে

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:০৪ পূর্বাহ্ণ

“বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।” পুরুষের যতগুলো সাফল্য নারীর অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় সাফল্য লাভ করেছে। নারী এবং পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। আমরা যা কিছু নৈতিক শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা নিজ পরিবার থেকেই আমাদের সূত্রপাত হয়। পরিবারের কথা আসলে প্রথমে আসে মা। মার কাছ থেকে আমরা ভাষা শিখি, চলতে শিখি ও হাঁটতে শিখি। প্রতিটি গর্ভধারিনী মা একজন নারী।

আমি এখানে গর্ভধারিনী মা এবং প্রিয়তমা স্ত্রীর গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করব। মা-বাবার নৈতিক শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষায় একটি সন্তান সু-সন্তান হতে পারে। আবার প্রিয়তমা স্ত্রীর সান্নিধ্যে স্বামীও সুন্দর জীবন পরিচালিত করতে পারে। আজ বেশীরভাগ অপরাধ নারী ঘটিত কারণে হয়ে থাকে। অসুস্থ প্রতিযোগিতায় আমাদেরকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একজন নারী চাইলে তার স্বামীকে অসৎ কিংবা দুর্নীতি থেকে সরিয়ে নিয়ে আসতে পারে। একটা মধ্যবিত্ত পরিবার অল্প বেতনে চাকরি করে কতো সুন্দর করেই না চলছে। হয়তো তাদের অভাব আছে, অপূরণ আছে তবু তারা সুখী।

একটি পরিবার থাকা-খাওয়া, বাচ্চার লেখাপড়া নিয়ে পরিবারে কতই বা খরচ হয়। সরকারি চাকরিজীবী যে পরিমাণ বেতন স্কেল তাতে কম হবার কথা নয়। দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা হয়তো নিজ পরিবার দ্বারা প্ররোচিত হচ্ছে নিশ্চয়ই। কতিপয় নারীর চাহিদা পূরণের জন্য হয়তো ভুক্তভোগী স্বামীটি অর্থলোভী ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ পুরুষে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমরা আসলে অল্পে সন্তুষ্ট নয়, আমার আরো চাই, এই মন-মানসিকতা। পরিবারের মা যদি বলতো বাবা আমি তোর অসৎ পয়সার ইনকাম খাব না, প্রিয়তমা স্ত্রী যদি বলতো তোমার অসৎ রোজগার আমার দরকার নেই।
ভোগী নয়, ত্যাগী হউন। মৃত্যু পরেও যেন আপনাকে সবাই সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে। সমাজে অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতি দমন করতে কতিপয় লোভী নারীর গুরুত্ব অপরিসীম। নেতাজি বলেছেন তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদেরকে স্বাধীনতা দিবো। নারীদের সাহসিকতা এবং কঠোরতায একটি পুরুষের জীবন পাল্টে দিতে পারে।

শ্রীধর দত্ত
সৌদি প্রবাসী

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট