চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জীবন কথা এম মনসুর আলী, ক্যাপ্টেন

২৮ মে, ২০১৯ | ১:৪৩ পূর্বাহ্ণ

(১৯১৯-১৯৭৫) : জন্ম. কুড়িপাড়া গ্রাম. কাজীপুর সিরাজগঞ্জ ১৯১৯। রাজনীতিবিদ। সিরাজগঞ্জ বি এল স্কুল থেকে মেট্রিক, পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে আই এ কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে বি এ (১৯৪১) এবং আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম এ (১৯৪৫) ও ল’ পাস। পাবনা বার-এ আইন ব্যবসায় যোগদান। পাবনা আইনজীবী সমিতির পর পর তিনবার নির্বাচিত সভাপতি। ১৯৪৬-১৯৫০ পর্যন্ত পাবনা জিলা মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি। একই সঙ্গে লীগের গার্ড বাহিনীর পাবনা জেলা শাখার ক্যাপ্টেন। সে সময় থেকে ক্যাপ্টেন মনসুর আলী নামে পরিচিত। ১৯৫১-তে আওয়ামী লীগে যোগদান ১৯৫৩-১৯৬৬ ও ১৯৭২-১৯৭৫ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। ১৯৫২-র ফেব্রুয়ারি মাসের ভাষা আন্দোলনে পাবনায় নেতৃত্ব প্রদান এবং কারা নির্যাতন ভোগ। ১৯৫৪-তে যুক্তফ্রন্টের মনোনয়নে পূর্ববঙ্গ আইনসভার সদস্য নির্বাচিত। ১৯৫৬-র ৬ সেপ্টেম্বর আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বাধান আওয়ামী লীগ কংগ্রেস দলীয় পুর্ববঙ্গ কোয়ালিশন সরকারের মন্ত্রী নিযুক্ত। আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী (সেপ্টেম্বর ১৮৫৬-মার্চ ১৯৫৭), খাদ্য ও কৃণি মন্ত্রী (মাচৃ ১৯৫৭- মার্চ ১৯৫৮) এবং বাণিজ্য, শ্রম ও শিল্পমন্ত্রী (মার্চ ১৯৫৮-অক্টোবর ১৯৫৮)। ১৯৫৮-তে সামরিক জান্তা কর্তৃক নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার। ১৯৫৯-এর শেষের দিকে মুক্তিলাভ। ১৯৬৭-র ১২ নভেম্বর আওয়ামী লীগের অন্রতম ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত। ১৯৭০ এর ১৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনে পাবনা ১ আসন থেকে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত। ১৯৭১-এর ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার (১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১) পর অর্থ, শিল্প, প্রাকৃতিক সম্পদ ও বাণিজ্য দফতরের মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু সরকারের পুনগর্ঠিত মন্ত্রিসভায় যোগাযোগ মন্ত্রী (১২ জানুয়ারি ১৯৭২-৭ জুলাই ১৯৭৪) এবং স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রী (৮ জুলাই ১৯৭৪-২৫জানুয়ারি ১৯৭৫) ১৯৭৩-এর ৭ মার্চ পাবনা-১ আসন থেকে পুনরায় জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত। ১৯৭০ ও ১৯৭৩ এর জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি বোর্ডের সদস্য। ১৯৭৫-এর জানুয়ারি দেশে সংসদীয় সরকারের পরিবর্তে এক দলীয় রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত। ২৪ ফেব্রুয়ারি (১৯৭৫) কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে সেক্রেটারি জেনারেল নিযুক্ত। ১৫ আগস্ট (১৯৭৫) সামরিক বাহিনীর একটি দলের হাতে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হলে আত্মগোপন। ২৩ আগস্ট মোশতাক সরকার কর্তৃক গ্রেফতার। জেলে বন্দী থাকা অবস্থায় কারাগারের প্রচলিত নিয়ম অগ্রাহ্য করে প্রবেশকারী সশস্ত্রবাহিনীর কতিপয় ব্যক্তির হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। বাঙালিজাতির স্বাধিকার আন্দোলনে ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে তাঁর অবদান স্মরণীয়। ষাটের দশকের ৬-দফাভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে অন্যতম রূপকার। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। মৃত্যু. কেন্দ্রীয় কারাগারে, ঢাকা, ৩ নভেম্বর ১৯৭৫।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট