চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় ও ব্যস্ততম টার্মিনাল নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড। আগামী ৬ জুলাইয়ের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) ও ড্রাই ডক কর্তৃপক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এরপর ৭ জুলাই থেকে ড্রাই ডক এনসিটি পরিচালনার কাজ শুরু করবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ডাইরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথডের (ডিপিএম) মাধ্যমে চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে উভয়পক্ষ শিগগিরই চুক্তিবদ্ধ হবে। ইতোমধ্যে ড্রাই ডক কর্তৃপক্ষ এনসিটির দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রয়োজনে নতুন জনবলও নিয়োগ করা হবে।
এনসিটি বিগত ১৭ বছর ধরে দেশীয় প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড পরিচালনা করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানটির সাথে বন্দর কর্তৃপক্ষের চুক্তির মেয়াদ ৬ জুলাই শেষ হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছে। এনসিটির অবকাঠামোগত সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাঁচটি জেটির প্রতিটিতে বড় সমুদ্রযাত্রার জাহাজ ভিড়তে পারে এবং একটি জেটিতে অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল করে। বছরে প্রায় ১৩ লাখ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে এই টার্মিনাল। এখানে রয়েছে ১৪টি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ আধুনিক সরঞ্জাম।
ড্রাই ডকের এই দায়িত্ব গ্রহণ মূলত ছয় মাসের জন্য একটি অন্তর্র্বর্তীকালীন চুক্তি, যার মধ্যে বিদেশি অপারেটর নিয়োগের বিষয়েও আলোচনা চলছে। আন্তর্জাতিক অপারেটর ডিপি ওয়ার্ল্ডসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে এ বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এনসিটির মতো টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরের হাতে না দিয়ে দেশের নিয়ন্ত্রণেই রাখার পক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।
শিপিং সংশ্লিষ্টরা জানান, ড্রাই ডকের অভিজ্ঞতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দিক থেকে এটি একটি সাহসী সিদ্ধান্ত। তবে আগামী ছয় মাসে টার্মিনাল পরিচালনায় দক্ষতা, স্থায়িত্ব ও কর্মসংস্থান রক্ষার দিকগুলো নির্ধারক হয়ে উঠবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য।
পূর্বকোণ/ইবনুর