চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

সর্বশেষ:

জামিনে মুক্ত চট্টগ্রামে ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি সেই গৃহশিক্ষক

অনলাইন ডেস্ক

২৬ জুন, ২০২৫ | ১১:২৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে মা ও দুই শিশুসহ চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলায় একমাত্র আসামি সেই গৃহশিক্ষক তারেক চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র তত্ত্বাবধায়ক মো. ইকবাল হোসেন।

এর আগে ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর আদালত আসামি তারেকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

পরে চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি বিচারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসে। বর্তমানে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের খতিবের হাট এলাকার ‘মা-মনি ভিলা’ ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় খুন হন দুবাই প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ডলি আক্তার (৩০) এবং তার ছেলে আলভী (৯) ও মেয়ে আদিবা পায়েল (৫)। আলভী বহদ্দারহাট সাইমন লাইট গ্রামার স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। আদিবা একই স্কুলের নার্সারি শাখার শিক্ষার্থী ছিল। তারেক কুলগাঁও সিটি করপোরেশন কলেজের ছাত্র ছিলেন।

গ্রেপ্তারের পর তারেক খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। ডিএনএ নমুনা (আলামত) পরীক্ষা করে তিন খুনের ঘটনায় সম্পৃত্তা নিশ্চিত হওয়ার পর ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি গৃহশিক্ষক তারেককে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এতে ৪৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।

এতে বলা হয়, মোবাইল ফোন সেটের লোভে এবং টিউশনিতে বেতন কম দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তারেক।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সেদিন গৃহশিক্ষক তারেকের জন্য খাবার আনতে ভবনের নিচে যান ডলি আক্তার। তখন তার শিশু কন্যা আদিবা পায়েল গিয়েছিল শৌচাগারে। শুরুতে আলভীকে কুপিয়ে হত্যা করেন তারেক। পরে শৌচাগার থেকে পায়েল বের হলে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর অপেক্ষা করতে থাকেন ডলির জন্য। কিছুক্ষণ পর ডলি নিচ থেকে খাবার নিয়ে ফিরলে তাকেও নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন তারেক। ঘটনার পর পর একটি লুঙ্গি পরে রক্তমাখা প্যান্ট পাল্টে ডলির বাসা থেকে বেরিয়ে যান তারেক।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট