চট্টগ্রাম বুধবার, ০৯ জুলাই, ২০২৫

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ইনকিউবেটরে জন্ম নিল ৩৩ অজগর ছানা

অনলাইন ডেস্ক

২৬ জুন, ২০২৫ | ৯:৪২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতির অংশ হিসেবে ইনকিউবেটরে ৩৩টি অজগরের বাচ্চা ফোটানো হয়েছে। এটি চিড়িয়াখানার ইতিহাসে ষষ্ঠবারের মতো এই প্রক্রিয়ায় সফলতা অর্জনের ঘটনা।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ৪ ও ১৪ এপ্রিল চিড়িয়াখানার দুটি অজগর থেকে যথাক্রমে ২৪ ও ২১টি ডিম সংগ্রহ করা হয়। এগুলো হাতে তৈরি বিশেষ ইনকিউবেটরে সংরক্ষণ করা হয়। এরপর দুই দফায়—১১ থেকে ১৩ জুনের মধ্যে ১৭টি এবং ২১ থেকে ২৪ জুনের মধ্যে ১৬টি ডিম থেকে ছানা ফোটে। প্রায় ৬৮ থেকে ৬৯ দিনের মধ্যে ইনকিউবেশন সম্পন্ন হয়।

ফুটে ওঠা এই ৩৩টি ছানা এখন চিড়িয়াখানার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রয়েছে। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পর এগুলো চট্টগ্রামের সংরক্ষিত বনে অবমুক্ত করা হবে জেলা প্রশাসক ও চিড়িয়াখানা নির্বাহী কমিটির সভাপতির অনুমতি সাপেক্ষে।

চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ইনকিউবেটরের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের কাজ করে আসছি। এটি একটি নিরবচ্ছিন্ন গবেষণার ফল। আমাদের প্রাণী চিকিৎসক দল ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমে এবারও সফল হয়েছি। ভবিষ্যতে ইনকিউবেটর ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত ও প্রযুক্তিনির্ভর করে তুলবো, যেন বিরল প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষণে আরও বড় ভূমিকা রাখতে পারি।

তিনি আরও বলেন, অজগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষণে এই ধরনের উদ্যোগ প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে। জনসচেতনতা বাড়ানো গেলে এই প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতে আরও সাফল্য আসবে।

এর আগেও ২০১৯ সাল থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ইনকিউবেটরে কৃত্রিমভাবে অজগর প্রজননের সফলতা দেখা গেছে। সে বছর প্রথমবার ২৫টি ছানা, ২০২১ সালে ২৮টি, ২০২২ সালে ১১টি, ২০২৩ সালে ১৬টি এবং ২০২৪ সালে ৩৫টি বাচ্চা ফুটেছিল। এবার নিয়ে মোট ১৪৮টি অজগর ছানা ইনকিউবেটরে ফোটানো হলো। এর মধ্যে ৮০টি ইতোমধ্যে চার দফায় সংরক্ষিত বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/আরআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট