পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন কুইনস কমনওয়েলথ রচনা প্রতিযোগিতায় একটি রৌপ্য ও দুটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে নগরীর লিডার্স স্কুল এন্ড কলেজের তিন শিক্ষার্থী। সম্প্রতি এই প্রতিযোগিতার আয়োজক রয়েল কমনওয়েলথ সোসইটি ইমেইলের মাধ্যমে পদক জেতার কথা জানান তাদের। তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে নন্দিনী তালুকদার রৌপ্য, আনজুমান সুলতানা আলম ও সৈয়দা তামান্না এলনাজ ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।
তারা তিনজনই ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ১৮৮৩ সাল থেকে শুরু হওয়া মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় পদক জয়ের বিষয়ে লিডার্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল আবু নাসের মো. তোহা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। এরমধ্যে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করি। এর অংশ হিসেবেই আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
পুরস্কারও পায়। এটা তাদের আত্মবিশ্বাস ও সাহস বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখছে। এর মাধ্যমে তারা ভালো ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠছে। ’স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথিবীর প্রাচীনতম আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ইংরেজি শিক্ষক মো. আলমাস হোসেন। এই প্রতিযোগিতার বিষয়ে তিনি জানান, শুরুতে রয়েল কমনওয়েলথ সোসইটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিযোগিতার বিষয়ে জানায়। পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়ালি ওই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। গেল সপ্তাহের শেষ দিকে ইমেইলের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের ফলাফল জানিয়ে দেয় আয়োজক প্রতিষ্ঠান।
প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক জয়ী নন্দিনী তালুকদার বলেন, ‘আমার নানাভাই অনেকটা দার্শনিক গোছের। প্রতিযোগিতায় আমরা লেখার টপিকও ছিল নতুন প্রজন্মের যারা আছি আমরা, নানা ভাইদের প্রজন্মকে কী জানাতে পারি বা তাদের কাছ থেকে কী শিখতে পারি তা নিয়ে।’পদক জয় ও প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় আমরা কয়েকজন অংশগ্রহণ করেছিলাম। অবশ্য লেখা জমা দেওয়ার আগে আমাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। তবু গোটা পৃথিবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে প্রাইজ পাব সেটা আশা করিনি। আমরা বাবা-মাও সারপ্রাইজড। সবকিছুর জন্য বাবা-মা ও শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ আমি।
পূর্বকোণ/ইব