চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আসছে নতুন অতিথি। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে আনা হচ্ছে এক জোড়া জলহস্তী।
জলহস্তী যুক্ত হওয়ার পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রাণীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৬২০টিতে। ৩৪ বছর বয়সী এই চিড়িয়াখানায় এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৬৮ প্রজাতির পশু-পাখি রয়েছে। এরমধ্যে ৩০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৪ প্রজাতির পাখি ও চার প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চিড়িয়াখানায় আগে যেখানে কুমিরের খাঁচা ছিল সেখান থেকে স্থানান্তর করে পাহাড়ের পশ্চিম পাশে লেকের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে কুমিরের নতুন খাঁচা। সেখানে নীল পানির মধ্যে প্রাকৃতিক পরিবেশে আয়েশ করে ঘোরাফেরা করছে কুমিরগুলো। সেই দৃশ্য নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের।
এদিকে, কুমিরের আগের জায়গায় নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে চিড়িয়াখানার নতুন অতিথি জলহস্তীর বসস্থান। এরমধ্যে নির্মাণ কাজ প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়ে গেছে। বাকি রয়েছে রং করা। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পুরো কাজ শেষ করা হবে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চিড়িয়াখানাকে আরও আধুনিক ও পর্যটকবান্ধব করতে প্রথমবারের মত জলহস্তী আনা হচ্ছে। যেহেতু চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় অনেকগুলো বাঘ আছে তাই তাদেরকে এক জোড়া বাঘ দেয়া হচ্ছে। তার পরিবর্তে তাদের থেকে আমরা এক জোড়া জলহস্তি আনার অনুমতি পেয়েছি। দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাকে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুলতেই নতুন নতুন প্রাণীর সংযোগ করা হচ্ছে। প্রাণীদের জন্য বাড়ানো হচ্ছে খাঁচা।
উল্লেখ্য চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের জন্য এর আগে আনা হয়েছে ম্যাকাউ, সিংহ, ক্যাঙ্গারু, ওয়েলবিস্ট, লামাসহ অনেক প্রাণী।
পূর্বকোণ/আরডি