চট্টগ্রাম সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্বল্প মেয়াদের ভোটে বৃহৎ আয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ জুন, ২০২৩ | ১২:১৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের ভোটার তালিকা ও ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এবার ভোটার, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা বেড়েছে। সেই হিসাবে বাড়ছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাও। স্বল্প মেয়াদের এ উপনির্বাচনে বৃহৎ আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুর কারণে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 

সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন পূর্বকোণকে বলেন, ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তালিকা আসছে। সবকটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাওয়ার পর চূড়ান্ত করা হবে। এরপর শুরু হবে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।

 

আগামী ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। আগামী ৪ জুলাই মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়।

 

আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনার। সেই হিসাবে উপনির্বাচনের মেয়াদ থাকবে ৪-৫ মাস। স্বল্প মেয়াদের এ নির্বাচনে বড় আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নির্বাচন কমিশন।

 

রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসন গঠিত। নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্র ও ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৯ হাজার ৪৭৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪৯ হাজার ২০২ জন। মহিলা ভোটার দুই লাখ ৪০ হাজার ২৭১ জন। ভোটকেন্দ্র ১৫৬ টি। ভোটকক্ষ ১২৫২টি। পাঁচলাইশ, পাহাড়তলী ও ডবলমুরিং তিন থানার আট ওয়ার্ডের মধ্যে অর্ধেক ভোটার ডবলমুরিং থানা অংশে। ডবলমুরিং থানায় ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৪১ হাজার ৮৬৫ জন।

 

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় উপনির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২০ হাজার। ভোটকেন্দ্র বেড়েছে ৩৯টি। ভোটকক্ষ বেড়েছে ৪০৪টি।

 

রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরির জন্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই তালিকা প্রেরণ করেছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, প্রতি ভোটকক্ষে একজন করে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও দুজন করে পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালন করবেন। সেই হিসাবে তিন হাজার নয় শ ১২ জন কর্মকর্তা ভোটে দায়িত্ব পালন করবেন। এরসঙ্গে ৫ শতাংশ অতিরিক্ত কর্মকর্তা নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

 

ঘোষিত তফসিল মতে, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র বাছাই ৬ জুলাই, আপিল দায়ের ৭ থেকে ৯ জুলাই, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১১ জুলাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ জুলাই। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জুলাই।

 

প্রসঙ্গত, গত ২ জুন চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুতে ৪ জুন ওই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ডা. আফছারুল আমীন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এ আসন থেকে তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট