পাহাড় ধসে চট্টগ্রাম ও তিন পার্বত্য জেলায় নিহতদের স্মরণে ১১ জুনকে জাতীয় পাহাড় রক্ষা দিবস ঘোষণার দাবিতে পিপল’স ভয়েসে ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের আয়োজনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন এবং নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার (১১ জুন) চেরাগী পাহাড় চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে ২০০৭ সালে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে নিহত ১২৭ জন এবং ২০১৭ সালে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে নিহত ১৩০ জন নিহতের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
পিপল’স ভয়েসের সভাপতি শরীফ চৌহানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ইউনুস হাসান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক মোস্তফা কামাল যাত্রা, ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সদস্য মনসুর মাসুদ, ইকো ফ্রেন্ড সভাপতি উত্তম কুমার আচার্য, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের উৎপল বড়ুয়া, ইন্ডাস্ট্রিয়ার গ্লোবাল ইউনিয়নের মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম মান্না, হেলাল উদ্দিন, পিপলস ভয়েসের পক্ষ থেকে শিক্ষিকা মাগ্রেট মনিকা জিনস, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি নরেশ চাকমা, পহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক লামিও মারমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে এবং প্রাশাসনিক নির্লিপ্ততায় পাহাড় কাটা থামছে না। পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে হলে আগে পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে। আর পাহাড় কাটা বন্ধে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উদাসীনতা দূর করতে কঠোর কর্মসূচির কোনো বিকল্প নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পটিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, কবি আশীষ সেন, কাজী এএএম মমতাজুল ইসলাম, শিল্পী আলোকময় তলাপত্র, শরৎজ্যোতি চাকমা, পরিবেশ সংগঠক ই. কে ঘোষ, সুপ্রিয় তংচংগ্যা, শেখ বিবি কাউসার, আরিফুল হক, এরশাদুল করিম, খোকন মিয়া, তিতুমীর বান্না প্রমুখ।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ