১০ দেশের পণ্য নিয়ে নগরীতে শুরু হয়েছে গার্মেন্টস মেশিনারি পণ্যের আন্তর্জাতিক ট্রেড শো- গার্মেন্টস টেকনোলোজি বাংলাদেশ (জিটিবি)। আজ বৃহস্পতিবার নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী শুরু হয়। দেশের গার্মেন্টস শিল্পের ‘সূতিকাগার’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামে চতুর্থবারের মতো এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে আস্ক ট্রেড এন্ড এক্সিভিশন প্রাইভেট লিমিটেড। প্রদর্শনী চলবে শনিবার পর্যন্ত।
এবারের প্রদর্শনীতে ৫২টি প্যাভিলিয়নে জাপান, ইতালি, চীন, হংকং, সিঙ্গাপুর, ভারত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, জার্মানিসহ ১০টি দেশের গার্মেন্টস মেশিনারি পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। সেলাই, ফিনিশিং, লন্ড্রি, ক্যাড-ক্যাম, প্রিন্টিং, কাটিং, স্পেডিং মেশিনারি, খুচরা যন্ত্রাংশ, নতুন ধরনের সুতা এবং কাপড়ের নানারকম আধুনিক পণ্য নিয়ে প্যাভিলিয়নগুলো সাজানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, পোশাক শিল্প খাতের সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। এখন অনেক নতুন নতুন ব্র্যান্ডের মেশিনারি যুক্ত হচ্ছে। যেগুলো প্রযুক্তিগতভাবে অনেক বেশি সমৃদ্ধ। চট্টগ্রামেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির গার্মেন্টস মেশিনারি নিয়ে এই ধরনের প্রদর্শনী প্রশংসার দাবিদার। এরমাধ্যমে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।
দেশের গার্মেন্টস মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, আমি মেশিনারি উৎপাদনকারীদের উদ্দেশ্যে বলবো, আপনারা মেশিন বিক্রির পর মেশিনের যন্ত্রাংশ সরবরাহের দিকেও মনোযোগ দেবেন। কারণ অনেক সময় দেখা যায়- কোনো একটি মেশিন নষ্ট হলে তার যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় না। এ বিষয়ে আপনারা আমাদের মেইনটেনেন্সের লোকজনকে প্রশিক্ষণ দেবেন। এসব জানা জরুরি।
বিকেএমইএ’র পরিচালক মির্জা মো. আকবর আলী চৌধুরী বলেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে প্রবেশ করেছি। তাই প্রতিযোগিতামূলক বাণিজ্যে টিকে থাকতে হলে আমাদেরকে বেসিক প্রডাক্ট থেকে বেরিয়ে হাই ভ্যালু এ্যাডেড পণ্য ও নতুন বাজার তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সংযোগ ঘটানোর বিকল্প নেই। এই প্রদর্শনী উদ্যোক্তাদের নতুন প্রযুক্তির মেশিনারিজ সম্পর্কে জানার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
আস্ক ট্রেড এন্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, আস্ক ট্রেড এন্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নন্দগোপাল কে প্রমুখ।
আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন- এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদনশীলতা ও গুনগত মান বজায় রেখে পণ্য উৎপাদন সম্পর্কে জানতে পারবেন। যে কোনো সমস্যার সমাধান প্রদান করতে পারবেন। এছাড়াও প্রদর্শনীতে আন্তর্জাতিক সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সুতা এবং কাপড়ের নতুন কালেকশন স্থানীয় গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের জন্য প্রদর্শন করবেন।
পূর্বকোণ/এএইচ