চট্টগ্রাম সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিএইচবিএফসি’র ঋণ : পাঁচ বছরে বিতরণ শত কোটি টাকা

ইমরান বিন ছবুর

২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ | ১:৪৩ অপরাহ্ণ

গত পাঁচ বছরে ১০৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করেছে গৃহায়ণ খাতে সেবা প্রদানকারী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি)। গৃহঋণ দেওয়াই হচ্ছে এই সংস্থার মূল কাজ। ১১টি ক্যাটাগরিতে দেশে আবাসন খাতে এই সংস্থা ঋণ দিয়ে আসছে। ঋণের জন্য আবেদন করে যাবতীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার ৭ থেকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে ঋণ পাওয়া যায়। গত পাঁচ বছরে ১৪৮ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ মঞ্জুরি হলেও বিতরণ করা হয়েছে মাত্র ১০৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। যেখানে ৪২ কোটি ২৯ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়নি। একদিকে পর্যাপ্ত জনবল ও অফিস না থাকা, অন্যদিকে সেবা গ্রহণকারীদের পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট না থাকায় টার্গেটকৃত ঋণ বিতরণ করা যাচ্ছে না দাবি সংশ্লিষ্টদের। বিএইচবিএফসি থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ২৪ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুরির হলেও ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ২১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৩০ কোটি টাকার ঋণের টার্গেটের বিপরীতে বিতরণ করা হয়েছে মাত্র ১৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ৩৭ কোটি টাকার বিপরীতে বিতরণ করা হয়েছে ২২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ঋণ মঞ্জুরি হয়েছে ৩২ কোটি টাকা। যেখানে বিতরণ করা হয়েছে ২২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ২৫ কোটি টাকার ঋণের বিপরীতে বিতরণ করা হয়েছে ২০ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
যে ক্যাটাগরিতে ঋণ দেয়া হয় : ফ্ল্যাট ঋণ, নগরবন্ধু ঋণ, প্রবাসবন্ধু, ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন, আবাসন উন্নয়ন, আবাসন মেরামত, কৃষক আবাসন, পল্লীমা, জিরো ইক্যুইটি আবাসন, সরকারি কর্মচারী আবাসন এবং হাউজিং ইকুইপমেন্ট এর জন্য বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন ৮-৯ শতাংশ সুদে সর্ব্বোচ্চ দুই কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে। জানতে চাইলে বিএইচবিএফসি’র চট্টগ্রাম জোনের কর্মকর্তারা বলেন, চট্টগ্রামে মাত্র একটি অফিস দিয়ে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি জেলাসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলায় কাজ চালাতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলায় একাধিক অফিস না থাকাতে গ্রাহক সেবা ও ঋণের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএইচবিএফসি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, আমরা ডকুমেন্টের উপর ভিত্তি করেই ঋণ প্রদান করি। অনেক সময় গ্রাহকরা যথেষ্ট ডকুমেন্ট প্রদান না করায় এসব ক্ষেত্রে আমরা ঋণ দিতে পারি না। আমরা ১১ ক্যাটাগরিতে ঋণ দিয়ে থাকি। প্রতিটি ক্যাটাগরির ঋণ নিতে হলে যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অনেকের কাগজপত্র আপডেট না থাকার কারণে ঋণ পান না। এ সময় আমাদেরও কিছু করার থাকে না। সিকিউরিটি ছাড়া তো ঋণ দেয়া সম্ভব না। যাদের সব কাগজপত্র ঠিক থাকে, তারা কোনো ঝামেলা ছাড়াই ঋণ পেয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রাহক সেবা বৃদ্ধি করতে চট্টগ্রামে আরো অফিস স্থাপনের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। যা করোনার জন্য আটকে ছিল। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে অফিস স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট