উপজেলার দোস্ত মোহাম্মদ সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে পানি জমে থাকায় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা সদরের সাথে রাউজান উত্তরাংশের ৩টি ইউনিয়ন ও দক্ষিণ ফটিকছড়ির কয়েকটি ইউনিয়নের যোগাযোগ মাধ্যম হলো এই সড়ক। সদর থেকে শুরু করে ফটিকছড়ির রাউজান সীমান্তে উত্তরসর্তা ছিরিন্নাখাল পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কে শুধু গর্ত আর গর্ত। স্থানীয়রা জরুরিভাবে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কয়েকশ গর্তে যান চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় সামান্য বিটুমিনের পিচ থাকলেও বেশিরভাগ সড়ক ছোট-বড় গর্তে ভরপুর। সড়কের পিচ ঢালাইকৃত বিটুমিন উঠে গিয়ে গর্তগুলো দিনদিন বড় হয়ে পুকুর কিংবা ডোবায় পরিণত হয়েছে। জগন্নাথহাট বাজার থেকে বাঁচা মিয়ার দোকান পর্যন্ত শুধু গর্ত আর গর্ত। আবার লাঠিছড়ি ব্রিজ থেকে আমিরহাট পশ্চিম ডাবুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত বেশ গর্ত চোখে পড়ার মতো। আমিরহাট সর্তা ব্রিজ থেকে শেষ সীমানা ছিরিন্নাখাল পর্যন্ত গর্তের যেন অন্ত নেই। কয়টি গর্ত হয়েছে হিসেব করে গোনা যায় না। এদিকে বাঁচা মিয়ার দোকানের পর হালকা গর্ত দেখা গেলেও পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের দারোগা বাড়ির সামনের বিশাল গর্তটি যেন ছোট পুকুর।
জানা যায়, বিশাল গর্তটিতে বৃষ্টির পানি জমে ছোট পুকুরে পরিণত হয়েছে। সড়কে চলাচলকৃত অটোচালিত রিকশা, ছোট পিকআপ, মোটর বাইক, রিকশাভ্যান দাঁড়িয়ে গিয়ে আগে নির্ধারণ করছে কোন পাশ দিয়ে গেলে বিপদমুক্ত হবে। সড়কে চলাচলকারীরা বলছেন, এ গর্তগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত গাড়ি চলায় গর্তগুলো বড় আকার ধারণ করেছে। অথচ এগুলোতে কিছু ইটের কংক্রিট ও বালি দিয়ে ভরাট করে দিলে চলাচলকারীরা দুর্ভোগ থেকে অনেকটা রক্ষা পেতো।
আবদুর রহিম নামের এক যাত্রী বলেন, মোটর বাইক ও সিএনজিচালিত ট্যাক্সিতে করে গেলে এ সড়কে জমে থাকা কর্দমাক্ত পানিতে শরীর ভিজে যায়। বেশকিছু স্থানে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটু পরিমাণ কর্দমাক্ত পানি মাড়িয়ে চলতে হয়। দ্রুতগতিতে সংস্কার করা হলে ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যেত।উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, সড়কটির ব্যাপারে আমরা চট্টগ্রাম অফিসে ফাইলপত্র পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদারকি করছেন। দারোগা বাড়ির সামনের গর্তটি সংস্কারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
পূর্বকোণ/এএ