চট্টগ্রাম সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

সহিংসতা রুখতে পুলিশের টহল ও নজরদারি বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ জানুয়ারি, ২০২১ | ১২:৩৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য মাঠপর্যায়ে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। প্রার্থীদের দল সমর্থিত বা বিদ্রোহী বিবেচনা না করে সবার প্রতি সমান আচরণ প্রদর্শনের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি মনিটরিং করবেন বলেও জানিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিএমপির মাসিক অপরাধ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংঘাত-সহিংসতা রোধে কঠোর হচ্ছে মহানগর পুলিশ। নগরীর আগ্রাবাদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহতের দুই দিনের মাথায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে নিরাপত্তা কড়াকড়ি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সিএমপির পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার রাত থেকে নগরজুড়ে বিশেষ টহল শুরু করা হয়েছে।

নগর পুলিশের গতকাল অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ সভায়ও সিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জানান, নগরজুড়ে চেকপোস্ট ও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সিটি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এ বিশেষ টহল চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় সেজন্যই এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, নিয়মিত আলোচনার পাশাপাশি সভায় সিটি নির্বাচন নিয়ে নানা নির্দেশনা দেন সিএমপি কমিশনার।

নির্বাচনী সহিংসতায় ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে দুজন খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদের ওরফে মাছ কাদেরের সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত হয় একজন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় আরও কয়েকজন।
এছাড়া গত বছরের মার্চ মাসে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার আগে পাহাড়তলী সরাইপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও গতবারের কাউন্সিলর মোর্শেদ আক্তারের সমর্থক মো. তানভীর নামে একজন নিহত হন।

মঙ্গলবারের ঘটনার পর পুলিশ ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল কাদেরসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশের একটি প্রতিবেদনেও এসব বিষয় উল্লেখ করে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের ৪১টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৮১ জন। আর সংরক্ষিত আসনে পাঁচজন। এদের মধ্যে একজন মহিলা কাউন্সিলরসহ ১৪ জন গতবারের কাউন্সিলর ছিলেন।

এসব বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার সহিংস ঘটনা ঘটেছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

এদিকে, দুপুরে বৈঠকে নির্দেশনার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

নগর পুলিশের কোতয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা জানান, পুলিশ সদস্যরা বিশেষ করে মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস তল্লাশি করছে। এখানে অনৈতিক কিছু হচ্ছে কি না পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

 

পূর্বকোণ/পি-মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট