কক্সবাজারের টেকনাফে মানবপাচারের নতুন একটি চক্র ধরা পড়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ উত্তর লম্বরীপাড়া এলাকা থেকে ৩০ জনকে উদ্ধার করেছে। যাদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে।
এদেরকে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল।
টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতরা জানিয়েছেন, দালালরা তাদের মালয়েশিয়ায় ভালো জীবন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিল। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে এইভাবে আটকে রাখা হয়েছিল।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে- দালালরা উদ্ধার হওয়াদের মালয়েশিয়ায় সুখী জীবনের মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়েছিল। জীবনের কষ্ট দূর হবে এবং পরিবারের জন্য অর্থ উপার্জন করতে পারবে, এই আশায় তারা সবকিছু ঝুঁকিয়ে দালালদের হাতে নিজেদের সঁপে দিয়েছিল
পুলিশের ধারণা, এ ধরনের মানবপাচারের ঘটনা এলাকায় নিয়মিত ঘটছে। দারিদ্র্য ও অর্থের প্রলোভনে পড়ে অনেকেই দালালদের ফাঁদে পা দিচ্ছে।
কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকা দিয়ে মানবপাচারের ঘটনা নতুন নয়। দালালরা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে বিদেশে পাচার করার চেষ্টা করে। অনেক সময় ভুক্তভোগীরা মৃত্যুমুখেও পড়ে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় অভিযুক্তরা পালিয়ে গেলেও তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। উদ্ধার ৩০ জনকে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশ এই ধরনের ঘটনা রোধে বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। উদ্ধারকৃতদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে এবং দালালদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তবে মানবপাচারের এই জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো এবং দারিদ্র্য দূর করা জরুরি।
পূর্বকোণ/এরফান হোছাইন/এএইচ