কেউ গরম তেলে পরটা ভাজছেন। কেউ স্টল সাজিয়ে পান, সিগারেট, চা বা ফলসহ নানা ধরনের পণ্য বিক্রি করছেন। হাত বাড়িয়ে ভিক্ষা করছেন-এমন লোকের সংখ্যাও কম নয়। মাঝে মাঝে শুয়ে থাকতে দেখা গেলো উস্কো-খুস্কো চুলের ভবঘুরে লোকজনকেও।
নগরের জাকির হোসেন সড়ক ধরে সরকারি মহিলা কলেজ মোড় থেকে ঝাউতলা রেলগেট এলাকার দিকে যেতেই দুই পাশের ফুটপাত দখল করে চলা-এমন কার্যক্রম দেখা গেছে গতকাল মঙ্গলবার। অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে এসব কার্যক্রম চালানোর কারণে খুলশী এলাকার এই ফুটপাতে হাঁটার জায়গা পর্যন্ত নেই। ব্যস্ততম জাকির হোসেন সড়কের ফুটপাত এভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
তারা বলছেন-তদারকি সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্লিপ্ততায় দিনের পর দিন তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বাধ্য হয়ে ফুটপাত বাদ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সড়কে হাঁটা-চলা করছেন। এতে যানবাহনের গতি কমে যাচ্ছে। সড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হচ্ছে। ফুটপাত দখলের কারণে ভোগান্তির বিষয়ে গতকাল বিকেলে খুলশী থানার সামনেই কথা হয়- পথচারী আলিম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি পূর্বকোণকে বলেন, সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অন্যতম প্রধান কাজ। কিন্তু দিনের পর দিন ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা বাড়ছে। আমরা অসহায়ের মতো কেবল দেখছিই।
সিটি কর্পোরেশন-পুলিশ কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা পূর্বকোণকে বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা কার্যক্রমে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। মেয়র না থাকায় ও পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স না পাওয়ায় আমরা উচ্ছেদে গেলেই হকাররা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলার হুমকি দিতো। ফুটপাত থেকে তাদের উচ্ছেদ করা যেতো না। তিনি বলেন, এখন নতুন মেয়র মহোদয় দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। পুলিশি তৎপরতাও স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। খুব দ্রুতই নগরের ফুটপাত-সড়ক দখলমুক্ত করতে আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো।
জাকির হোসেন সড়কসহ সব সড়ক থেকে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে চসিকের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
পূর্বকোণ/ইব