চট্টগ্রাম সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাজারে দাম কমছে সবজির

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ অক্টোবর, ২০২৪ | ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ

গেল কয়েক সপ্তাহে লাফিয়ে বেড়েছে সবজির দাম। কাঁচাবাজারের উত্তাপ কমাতে নানামুখী উদ্যোগ নেয় সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। এতে পাঁচ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে ১০ সবজির। কাঁচাপণ্যের দাম পুরোপুরি নাগালের মধ্যে না আসলেও দাম কমতে শুরু করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতা-ভোক্তারা।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সোমবার নগরে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরদিন কৃষি ওএমএস কার্যক্রম শুরু করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার ৬ টি সেলস সেন্টারে সবজিসহ নানা নিত্যপয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করে জেলা প্রশাসন। আবার বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে গঠিত টাস্কফোর্সও বাজার তদারকি করছে নিয়মিত। নানামুখী এমন উদ্যোগের চাপ পড়েছে কাঁচাবাজারে। দাম কমেছে সবজির। উপজেলা পর্যায়েও শুরু হয়েছে কৃষক বাজার।

 

গতকাল নগরীর অক্সিজেন, আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট, চকবাজার, কর্ণফুলী কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাঁচ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে বরবটি, শিম, কাঁচা মরিচ, মুলা, বেগুন, টমেটো, পটল, ফুলকপি, চিচিঙ্গা এবং পেঁপের। এরমধ্যে কেজিতে বরবটির দাম ২০-৩০, শিম ও কাঁচা মরিচের দাম ৮০, মুলার দাম ৫০, বেগুনের দাম ২০, টমেটোর দাম ৪০, পটল ও চিচিঙ্গার দাম ২০, ফুলকপির দাম ৩০ এবং পেঁপের দাম ৫ টাকা কমেছে। নগরে বরবটি ৭০-৮০, শিম ২০০, কাঁচা মরিচ ২০০, মুলা ৭০, বেগুন ১০০, টমেটো ১৬০, পটল ৬০, ফুলকপি ১২০, চিচিঙ্গা ৫০ এবং পেঁপে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে কাকরল ১৪০, করলা ১২০, গাজর ১৮০, ঢেঁড়স ৮০, বাঁধাকপি ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৬০, ছরা ৬০, ঝিঙে ৮০, আলু ৬০ এবং শসা ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ-রসুনের দাম। বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ ১১০ টাকা এবং রসুন ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এদিকে কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। নগরে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯৫, সোনালি ম্রুগি ৩৪০-৩৮০, লেয়ার ৩৪০ এবং দেশি মুরগি ৫২০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে। এর বাইরে ৭৮০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। মাছের মধ্যে পাঙাস ১৭০, তেলাপিয়া ২০০, নারকেলি ২০০, কাতল ৩২০, রুই ৩৮০, পোয়া ৩০০ এবং পাবদা ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে নগরে। বাজার তদারকি ও সবজির দাম কমে আসার বিষয়ে চট্টগ্রামে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান বলেন, টাস্কফোর্সের কার্যক্রম চলছে, জেলায়-উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সেলস সেন্টার চালু করে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এরমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এগিয়ে আসছে। আশা করা হচ্ছে বন্যার ক্ষতিটা ছাড়া বাকিটা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব।

 

তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে টেকসই উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, এখন যে নানামুখী উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে, সেটা আরও আগে শুরু হলে ভোক্তারা উপকৃত হত। উপজেলা পর্যায়ে কৃষকদের বাজারের ব্যবস্থা করতে হবে। হাত বদলের প্রচলন কমে গেলে দাম সহজে বাড়বে না। তবে এসব উদ্যোগ ক্ষণস্থায়ী, বাজার নিয়ন্ত্রণে টেকসই উদ্যোগ প্রয়োজন।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট