যখন বিভাজনের সময় আসে তখন আমরা এক হয়ে যাই। কিন্তু গঠনের সময় আসলেই বিভাজিত হই। ৪৭ এর দেশভাগের সময়, ৯০ এর অভ্যুত্থানে, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে আমরা এক হয়ে গেছিলাম। এ সময় আমরা কাউকে জিজ্ঞেস করিনি কে সরকারি চাকরি করে- কে করে না, কে বিসিএস ক্যাডার – কে ক্যাডার না। এভাবে পৃথিবীর সবকিছুতেই ভাঙার সময় আমরা এক হয়ে যাই।
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। রোববার (৮সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন।
মতবিনিময় সভায় হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন,২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্টের আগে আমাদের মাঝে কোন ধরনের বিভেদ ছিল না। যখন রাষ্ট্র সংস্কারের ও পুনর্গঠনের প্রশ্ন এসেছে তখনই বিভাজন তৈরি হয়েছে। যেমন হয়েছিল ৪৭ এর পর মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে। ঠিক তেমনি ৭১ সালেও।
হাসনাত বলেন, আপনারা জানেন, ফ্যাসিস্ট শুধু শেখ হাসিনা ছিল না। ফ্যাসিস্ট ইনস্টিটিউট ছিল, ফ্যাসিস্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ছিল, ফ্যাসিস্ট থিওলজি ছিল, ফ্যাসিস্ট কালচার ছিল, ফ্যাস্টিস্ট ড্রেসআপ ছিল। আমাদের প্রত্যেকটি জায়গায় ফ্যাস্টিস্ট বিরাজমান ছিল। আপনাদের আশপাশে বাজার কমিটির সভাপতি, মসজিদ কমিটির এবং নাপিত কমিটির সভাপতি ইত্যাদি সংগঠন তৈরি করে সিন্ডিকেট বানিয়ে শেখ হাসিনা ফ্যাসিজমের বীজ বপন করেছে।
মতবিনিময় সভায় চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে ইতিপূর্বে যেসব গোপন চুক্তি হয়েছে সেগুলো বাতিল করতে হবে। দেশের সকল মানুষকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যাতে কোনো দেশের রক্তচক্ষু দেখে আমরা ভয় না পাই।
প্রসঙ্গত, মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের হাজারখানেক শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, রাসেল আহমেদ, খান তালাত মাহমুদ রাফিসহ চবির সমন্বয়কগণ।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ