বিশ্বে পণ্য পরিবহনের অন্যতম প্রধান পথ হলো সমুদ্র পথে পণ্য পরিবহন। সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও সমুদ্র পথে পণ্য পরিবহন ব্যাপক বেড়েছে। ভবিষ্যতে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ও বে টার্মিনাল চালু হলে সমুদ্র পথে পণ্য পরিবহনের চ্যালেঞ্জ আরো বেড়ে যাবে। ভবিষ্যতের সেই চ্যালেঞ্জ সামলাতে শিপিং বাণিজ্যের প্রসারের বিকল্প নেই। কিন্তু বাংলাদেশে দীর্ঘদিন থেকে শিপিং লাইসেন্স প্রদান বন্ধ রাখা হয়েছে। যা কোনমতেই কাম্য নয়। তাই অবিলম্বে নতুন শিপিং লাইসেন্স প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কনটেইনার শিপিং এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফাইয়াজ খন্দকার।
আসন্ন নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২০২৫) বাজেট প্রসঙ্গে পূর্বকোণ প্রতিনিধির সাথে ‘বাজেট ভাবনা’ আলোচনায় তিনি এ দাবি তুলে ধরেন।
ফাইয়াজ খন্দকার আরো বলেন, শিপিং লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ থাকায় অনেকেই এই ব্যবসায় আসতে পারছে না। বিশ্বের অনেক শিপিং প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের পণ্য পরিবহনে ভূমিকা রাখতে পারছে না।
আগামী জাতীয় বাজেট ব্যবসাবান্ধব করার স্বার্থে অন্যান্য দাবির বিষয়ে তিনি জানান, ইজিএম (এক্সপোর্ট জেনারেল মেনিফেস্ট) এর বিল দাখিল প্রক্রিয়া জাহাজ বন্দর ত্যাগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আবশ্যিকভাবে সম্পন্ন করার যে বিধান করা হয়েছে, তা বিবিধ বাস্তবসম্পন্ন কারণে কার্যকর করা সম্ভব নয়। যা শিপিং এজেন্টদের অযাচিত সমস্যার মুখোমুখি করছে। ইজিএম দাখিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময়সীমা তিনি ৭ দিন করার জোর দাবি জানান।
ফাইয়াজ খন্দকার আরো বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত শুল্কায়ন সফটওয়ার এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের সার্ভারের সমস্যা সমাধানে আরো বেশি নজর দেওয়া উচিৎ বলে মনে করি। কর ব্যবস্থাকে সহজীকরণসহ শিপিং এজেন্টদের কমিশনের ওপর উৎসে করের হার ৮% থেকে কমিয়ে ৫% নিধারণ কারার দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে, চট্টগাম বন্দরে এবং বেসরকারি অফডকগুলোতে বছরের পর বছর ডেলিভারি না হয়ে পড়ে থাকা কনটেইনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কস্টমসের নিলাম এবং ধ্বংস প্রক্রিয়া আরও আধুনিকায়নের ওপর নজর দিতে হবে। এছাড়া নিলামের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে যে অর্থ আয় হয়, তা থেকে শিপিং লাইনদের পাওনা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিশোধের বিধান রেখে আইনে এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার দাবি জানাই।
হিমায়িত কনটেইনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বন্দরে দীর্ঘাদন পড়ে থাকা রেফার কনটেইনারের বিদ্যুৎ বিল শিপিং লাইনকে যাতে চার্জ না করা হয়, সেটি আইনে প্রয়োজনীয় বিধান সংযুক্তির আহ্বান জানাই।
পূর্বকোণ/পিআর