চট্টগ্রাম সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

চার বছর পর ৪৮০ সড়ক বাতি জ্বলবে বায়েজিদ লুপ রোডে

ইমরান বিন ছবুর

২৪ জুন, ২০২৩ | ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ

প্রায় চার বছর অন্ধকার থাকার পর বায়েজিদ বোস্তামী-ফৌজদারহাট লুপ রোডে সড়ক বাতি লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। যার জন্য চলতি সপ্তাহে টেন্ডার আহ্বান করা হবে এবং টেন্ডার শেষে আগস্টের শুরুর দিকে সড়ক বাতি স্থাপনের কাজ শুরু করবে সিডিএ। সড়কের একপাশে ২৪০টি করে উভয় পাশে স্থাপন করা হবে মোট ৪৮০টি সড়ক বাতি। যাতে ব্যয় হবে ৬ কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা। ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কে বাতি স্থাপন করা হলে দুর্ঘটনা-ছিনতাইসহ যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

শতভাগ কাজ শেষ না হলেও ২০১৯ সালের শেষের দিকে সড়কটিতে যান চলাচল শুরু হয়। প্রকল্পের নাম বায়েজিদ বোস্তামী-ফৌজদারহাট লুপ রোড থাকলেও অনেকেই এটাকে বায়েজিদ ফৌজদারহাট লিংক রোড হিসেবেই চিনেন। ২০১৯ সালের শেষের দিকে সড়কটিতে যান চলাচল শুরু হলেও এতে কোন সড়ক বাতি ছিল না। ফলে সন্ধ্যার পর থেকে দুর্ঘটনা, ছিনতাইয়ের কবলে পড়তেন এই সড়কে চলাচলকারীরা। এসব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে সন্ধ্যার পর যান চলাচলের সংখ্যা কমে যেত। এই সড়কের একাংশ বায়েজিদ থানার আওতাধীন।

 

জানতে চাইলে এই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস জাহান বলেন, বায়েজিদ বোস্তামী-ফৌজদারহাট লুপ রোডের ৬ কিলোমিটারের মধ্যে কিছু অংশ বায়েজিদ থানা এলাকার, কিছু অংশ আকবর শাহ থানা এলাকার এবং বাকি অংশ সীতাকুণ্ড থানা এলাকায় পড়েছে। নগরীর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়ক এটি। দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার এই সড়কে বাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হয়। এই পুরো সড়কে যদি বাতি স্থাপন করা হয় ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করছি। এছাড়া, সড়কে বাতি থাকলে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট দেখে আমরা সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে পারবো এবং কোন অপরাধ সংঘটিত হলে দ্রুত শনাক্ত করা যাবে।

 

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, সড়ক বাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর মাঝেমধ্যে এই এলাকায় ছিনতাই হয়ে থাকে। এরমধ্যে অনেকগুলো মামলায় আমরা ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করেছি। তবে সড়কে লাইট না থাকায় আমরা এখানে সিসি ক্যামেরাও স্থাপন করতে পারছি না। ফলে অনেক সময় ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করতে আমাদের সমস্যা হয়।

 

প্রকল্প পরিচালক আসাদ বিন আনোয়ার বলেন, মূল প্রকল্পে সড়ক বাতি না থাকলেও সংশোধিত প্রকল্পে সড়ক বাতি যুক্ত করা হয়েছে। ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কে ৪৮০টি সড়ক বাতি স্থাপন করা হবে। যেখানে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা। চলতি সপ্তাহে টেন্ডার আহ্বান করা হবে এবং আগস্টের দিকে সড়ক বাতি স্থাপনের কাজ শুরু হবে। আশা করা হচ্ছে কাজ শুরুর তিন মাসের মধ্যে সড়ক বাতি স্থাপনের কাজ শেষ হবে।

 

তিনি আরো বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত। তবে প্রকল্পের মেয়াদ জুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময় চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। তবে আমরা আশা করছি চলতি বছরের শেষের দিকে প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ হবে।

 

উল্লেখ্য, নগরীর যানজট সমস্যার সমাধানকল্পে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তাবায়নাধীন বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত চট্টগ্রামের প্রথম বাইপাস সড়ক। এই সড়কে নির্মাণ করা হচ্ছে ১২টি কালভার্ট ও ৬টি ব্রিজ। ৩২০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫৩ কোটি টাকার ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪ লেন বিশিষ্ট এই প্রকল্পের একাধিকবার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট