চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৫৪.৪৩ শতাংশ। গত অর্থবছরে চসিক ২ হাজার ১৬১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করে। কিন্তু বাস্তবায়ন হয় ১ হাজার ১৭৬ কোটি ২৮ লাখ ১০ হাজার টাকা।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যয় খাতে মোট পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৬৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়েছে ৩৯৫ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এডিপি এবং অন্যান্য খাতে বাজেটে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছিল ১১১২ কোটি টাকা। কিন্তু সরকার থেকে ৬টি প্রকল্পে পাওয়া গেছে মাত্র ৬০৯ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রাজস্ব তহবিল ও অন্যান্য উন্নয়ন খাতে বরাদ্দের প্রত্যাশা ছিল ১৪৭ কোটি ৫০ কোটি টাকা। কিন্তু ব্যয় করতে পেরেছে মাত্র ৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
গতকাল চসিকের বিশেষ সাধারণ সভায় ২০২২-২৩ সালের সংশোধিত যে বাজেট অনুমোদিত হয় তা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ওই অর্থ বছরে বকেয়া কর ও অভিকর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কিন্তু আদায় হয়েছে মাত্র ৪২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। হাল কর ও অভিকর আদায়ের লক্ষ্য ছিল ২১১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ১৫২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অন্যান্য করাদির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ১৩৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ফিস পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২৫ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আদায় হয়েছে ৮০ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জরিমানার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ৭০ লাখ টাকা। সম্পদ হতে অর্জিত ভাড়া ও আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আয় হয়েছে ৪২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। ব্যাংক স্থিতি থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ কোটি টাকা। আয় হয়েছে ৭ কোটি টাকা। বিবিধ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ কোটি ৭ লাখ টাকা। আয় হয়েছে ১৮ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। ভর্তুকি পাওয়ার আশা ছিল সাড়ে ২৯ কোটি টাকা। কিন্তু পাওয়া গেছে ২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ নিজস্ব উৎস ৯০৪ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও পাওয়া গেছে ৫০৬ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
গত অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের প্রায় অর্ধেক বাস্তবায়ন না হওয়া প্রসঙ্গে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারীর ধকল সামলে উঠার সময়েই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এসব কারণে বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়েছে আমরা তার বাইরে নই। যে কারণে রাজস্ব আদায় তুলনামূলক কিছুটা কম হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পেও প্রত্যাশার চেয়ে বরাদ্দ প্রাপ্তি কম ছিল। এর মধ্যে যতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তাতে তিনি সন্তুষ্ট বলে উল্লেখ করেন।
পূর্বকোণ/পিআর