চট্টগ্রামে ১০ হাজার ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে ধরা পড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ফটিকছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজিমেল কদরকে আড়াই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুনসী আবদুল মজিদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মো. আজিমেল কদর ঢাকা জেলার দোহার থানার দক্ষিণ জয়পাড়া এলাকার প্রয়াত হাসান আলীর ছেলে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মুছা জানান- আসামিকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ১ বছর ৬ মাস, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ১ বছর, ২০ হাজার টাকা জরিমানা। জরিমানা অনাদায়ে এক মাস সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ ফটিকছড়িতে তার অফিস থেকে তাকে ফাঁদ পেতে আটক করে দুদক। উপজেলার উত্তর পাইন্দং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তাসলিমা আক্তারের কাছ থেকে ঘুষ নিচ্ছিলেন আজিমেল কদর। এসময় ওই শিক্ষিকার কাছ থেকে নেওয়া ঘুষের ১০ হাজার টাকাও উদ্ধার করে দুদক। অন্যস্কুলে বদলির আশ্বাস দিয়ে এ টাকা নেওয়া হচ্ছিল। অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
পূর্বকোণ/রাজিব/এএইচ