আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় নতুন নির্মিত ছয়তলা বিশিষ্ট জেলা সমাজসেবা কমপ্লেক্স। প্রায় ২০ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গার উপর নির্মিত ভবনটিতে চলবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদপ্তরের বহুমুখী কার্যক্রম। এখনো ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না হলেও এরমধ্যে শুরু হয়ে গেছে চার অফিসের কার্যক্রম। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন ৬৪ জেলায় জেলা সমাজসেবা কমপ্লেক্স নির্মাণ (প্রথম পর্যায় ২২ জেলা) প্রকল্পের মধ্যে একটি চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা কমপ্লেক্স। এর আগে মুরাদপুরে অবস্থিত সমাজসেবা কার্যালয়ের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই চলতো সমাজসেবার সকল কার্যক্রম। এখানে এক ভবনে চারটি অফিসের কার্যক্রম চলতো। এতে সেবা গ্রহণকারী ও সেবা প্রদানকারীদের দুর্ভোগে পড়তে হত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পুরাতন ভবনে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পিএইচটি সেন্টার ও প্রবেশন কার্যক্রম এ চার ধরনের অফিস কার্যক্রম চলতো। যা এখন ছয় তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখানে পরিসর বড় হওয়ায় কাজের সুযোগ বাড়বে। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদুল আলম বলেন, নানামুখী কার্যক্রমের জন্য নতুন ভবনটি সুবিধা হয়েছে। আগে এক ভবনে আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ চার রকমের অফিস কার্যক্রম চলতো। এতে আমাদের নানা সমস্যায় পড়তে হত। কিন্তু এখন নতুন ভবনের নিচ তলায় প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র করা হয়েছে। যেখানে প্রতিবন্ধীদের জন্য থেরাপি সেন্টার ও কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় তলায় জেলা সমাজসেবার সব রকম অফিস কার্যক্রম চলছে। তৃতীয় তলায় শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের চতুর্থ নম্বর অফিস হবে। চতুর্থ তলায় পিএইচটি সেন্টারের বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের স্কুল, লাইব্রেরি ও কনফারেন্স হল করা হয়েছে। পঞ্চম তলায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভিআইপিদের জন্য দু’টি আবাসিক কক্ষ এবং ৬ষ্ঠ তলায় কনফারেন্স রুম ও ডাইনিং করা হয়েছে। একই ছাদের নিচে সব রকম সেবা মিলবে।
সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্য মতে, নগরীর মুরাদপুরে ছয়তলা বিশিষ্টি ভবনটির অনুমোদন হয়েছে ২০১৭ সালে। ভিত্তিপ্রস্তর হয় ২০১৮ সালে এবং ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল। পুরাতন সমাজসেবা কার্যালয় আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পেছনে ছয়তলা নতুন ভবনটি নির্মিত হয়। এর নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। আর ডি পি অনুযায়ী ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে গত মে মাসের প্রথম দিকে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে টিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরকে বুঝিয়ে দিয়েছে ভবনটি।
পূর্বকোণ/পিআর