চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

তীব্র দাবদাহে মানুষ ও প্রকৃতি বিপর্যস্ত

অনলাইন ডেস্ক

১৯ এপ্রিল, ২০২৩ | ৯:৫১ অপরাহ্ণ

প্রতিদিন তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে । মানুষ ও প্রাণীর জীবন ওষ্ঠাগত । ফলদ বৃক্ষ বিশেষ করে আম-কাঁঠালের ফলনে ক্ষতিকর প্রভাব লক্ষণীয় । এই সময় ভালো ফলনের জন্য বৃষ্টির প্রয়োজন পড়ে । আকাশে মেঘ নেই । বৃষ্টির দেখা মিলছে না।

 

কালবৈশাখীর এই সময়ে আমাদের দেশে মাঝে মাঝে উত্তর- পশ্চিম আকাশ থেকে যে ঝোড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টি হয়ে থাকে তারও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। চারদিকে গরম হাওয়া বইছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় ।

 

পরিবেশদূষণের প্রভাব পড়ছে বায়ুমণ্ডলে। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন হচ্ছে । বনে আগুন দিয়ে বন পুড়িয়ে শেষ করা হচ্ছে! কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে উষ্ণতা বাড়ায়। আর বৃক্ষ খাবার হিসেবে গ্রহণ করে কার্বন ডাই-অক্সাইড।

 

বৃক্ষ না বাড়লে কার্বন ডাই-অক্সাইড কমবে কী করে! নদী, খাল ও প্রাকৃতিক জলাশয় দখল ও দূষণে বিপর্যস্ত । স্বচ্ছ জলের প্রবাহ দিন দিন কমছে । সূর্যের তাপে পানি বাষ্পীভূত হওয়ার জন্য উন্মুক্ত পরিষ্কার জলাশয়ের প্রয়োজন হয় ।

 

নদী ও খালের পানিতে শক্ত আবর্জনা (প্লাস্টিক সামগ্রী) থাকায় বাষ্পীভবন হয় ব্যাহত। এ কারণে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি কম হওয়ায় আকাশে মেঘ নেই। বৃষ্টিও হচ্ছে না। ক্লোরোফ্লোরো কার্বন, কার্বন মনোক্সাইড তাপমান বৃদ্ধির জন্য দায়ী। মিথেন, নাইট্রাসঅক্সাইড, ওজোন এবং সালফার তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটাতে সক্ষম। তাপমাত্রাকে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কিছু পদক্ষেপ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।

 

দেশজুড়ে ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারি উদ্যোগে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। দখল ও দূষণমুক্ত করতে হবে নদী খাল ও প্রাকৃতিক জলাশয়কে। গাছ কাটা এবং বনে আগুন লাগানো বন্ধ করতে হবে। কলকারখানা ও গণপরিবহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া বাতাসে মিশতে দেওয়া যাবে না। কলকারখানার নির্গত তরল ও কঠিন বর্জ্যের জন্য সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে । এক্ষেত্রে সবারই সচেতনতা প্রয়োজন। তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক

লেখক: কামরুজ্জামান, শ্রীপুর, গাজীপুর।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট