খুব ভোরে ওঠার অভ্যাস সুখী জীবনের মূলমন্ত্রের একটি। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, যারা সকালে ঘুম থেকে ওঠেন, তারা দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো ফল করে।
মানসিক সুস্থতা: সকালে ওঠার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুফল হচ্ছে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি। যখন কেউ সকালে ওঠেন, ইতিবাচক বার্তা দিয়ে দিন শুরু হয়। সারাদিন এই ইতিবাচক মনোভাব চলতে থাকে।
নাস্তা: দিনের কাজ শুরুর জন্য সকালের নাস্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকালে উঠে একটা স্বাস্থ্যকর নাস্তা করা অতি জরুরি কাজের মধ্যে একটি।
ব্যায়াম: সকালে ঘুম থেকে ওঠার আরেকটি সুফল বয়ে আনবে ব্যায়াম। সেই সঙ্গে রাতের ঘুমও গভীর করবে ব্যায়াম। সকালে ঘুম থেকে ওঠা মানে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া। যারা সকালে উঠে ব্যায়াম করেন তারা সারাদিন ঝরঝরে থাকেন এবং রাতেও গভীর ঘুম উপভোগ করেন।
মানসিক চাপ থেকে মুক্তি: গবেষণায় দেখা গেছে, যখন কোনো ব্যক্তি ভোরে ওঠেন, তখন অন্যদের তুলনায় তিনি বেশি সক্রিয় থাকেন এবং কাজে সময় নেন কম।
পড়াশুনা: ভোরে ঘুম থেকে উঠলে আপনি ফ্রেস মনে পড়াশুনায় সময় দিতে পারবেন।
আরও উৎপাদনশীল: সকালে ঘুম থেকে উঠলে আপনার কাজের গতি বেড়ে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন আরো উৎপাদনশীল।
বিশুদ্ধ বায়ু: সারাদিন মানুষের চলাফেরা ও কলকারখানা চালু থাকে বলে দিনে বাতাসে প্রচুর রোগ-জীবাণু থাকে। ভোরের দিকে বাতাস থাকে বিশুদ্ধ। এই বিশুদ্ধ বাতাস শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
সুখী জীবন: সকালে উঠলে জীবন সুখের হয়। জীবনে ইতিবাচক দিক বাড়ে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ভোরে ঘুম ভাঙে, তারা বেশি সুখী হন। এই সারাজীবন ধরেই সুখ ছুঁয়ে যায়।
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ