পাবনার ঈশ্বরদীতে মানিব্যাগে প্রেমিকার ছবি রাখার প্রতিবাদ করায় ঐশী (২২) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
গতকাল শনিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া গ্রামে জাহিদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর পরিবারের দাবি, স্বামী তার মানিব্যাগে প্রেমিকার ছবি রেখেছিলেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় তিনি স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
আজ রবিবার (১ নভেম্বর) নিহত গৃহবধূর মা বাদী হয়ে স্বামী জাহিদ ও তার পরিবারের তিন সদস্যকে আসামি করে মামলা করেছেন।
জানা যায়, ঐশী আওতাপাড়া গ্রামের জাহিদ হোসেনের স্ত্রী ও একই গ্রামের বাঁশেরবাদার মাহাবুল ইসলামের মেয়ে। আর তার স্বামী মো. জাহিদ হোসেন একই গ্রামের হারুণের ছেলে এবং রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের সাব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স কোম্পানিতে চাকরি করেন। তাদের সংসারে আট মাসের একটি মেয়ে সন্তান আছে।
ঐশীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্বামী জাহিদসহ তার পরিবারের সবাই বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকা দাবি করে ঐশীকে মারধর করতো। গত শুক্রবারও ঐশীকে মারধর করা হয়।
লিখিত অভিযোগে ঐশীর মা শাহানারা জানান, বিয়ের সময় নগদ টাকাসহ আসবাবপত্র দেয়া হয়। পরে যৌতুকের দাবিতে আরও ৩ লাখ টাকা ও এক লাখ ৭০ হাজার টাকার মোটরসাইকেল দেওয়া হয়। তারপরও গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় টাকার জন্য ঐশীকে স্বামী জাহিদসহ তার পরিবারের সদস্যরা পিটিয়ে হত্যা করে।
পরে জাহিদ ((২৬) , তার মা মরিয়ম (৫০), ভাই মকলেছুর রহমান (২৯), ভাবি রেশমা খাতুন (২৪) বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এলাকার মানুষের কাছে খবর পেয়ে ঐশীর পরিবার মেয়েকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আাসলে বিস্তারিত জানা যাবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
পূর্বকোণ/এএ