বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নে গুনাগুরি ভাসান্যা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জায়গা জমির বিরোধের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন দা, ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ট্রাক চালক জহির আহমদ (৫০) কে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সে ভাসাইন্যা দোকান এলাকার মৃত আলি মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার (১২ মে) সকাল ৭টার দিকে বাড়িতে ও ৮টার দিকে রাস্তার উপর দুই দফায় দা, কিরিচ দিয়ে হামলার ঘটনার পর এই খুনের ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালীপুর ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডে গুনাগুরি ভাসাইন্যা চর এলাকার আধিপত্য নিয়ে পূর্ব শত্রুতা জায়গা জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে গত সোমবার রাতে মনির আহমদ গং ও নুরুল আমিন নুরুল ইসলাম গংদের মধ্যে বিরোধ হয়। তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে নিহত জহির আহমদ বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধা করে দেয়ার চেষ্টা চালায়। ঐ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার ভোর সকালে মনির আহমদের আত্মীয় নিহত জহির আহমদ এর বসতঘরে নেজাম উদ্দিন, ইলিয়াছ, আনিছসহ ১০/১২ জন উপস্থিত হয়ে তর্ক বির্তকে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ট্রাক চালক জহির আহমদকে প্রতিপক্ষের লোকজন ছুরি, কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে উদ্ধার করে গুনাগুরি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
গুরুতর আহত জহিরকে বহনকারী এ্যাম্বুলসটি ভাসাইন্যা দোকান এলাকায় পৌঁছলে প্রতিপক্ষের লোকজন দ্বিতীয় দফায় জহির আহমদ ও তার আত্মীয় স্বজনের উপর আবার হামলা চালায়। এ সময় জামাল উদ্দিন (৬৫) ও তার ছেলে মো. হিরো (২২) আহত হন। আহত অবস্থায় রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্সটি আনোয়ারা সড়কে পৌছার পর ট্রাক চালক জহির আহমদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রেখে গেছেন।
কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ.ন.ম শাহাদাত আলম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনাটি ঘটছে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, গুনাগুরি ভাসাইন্যা দোকান এলাকায় সামাজিকভাবে জায়গাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুইপক্ষের মাঝে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে খুনের ঘটনাটি ঘটে। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জড়িত আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর