চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪

ট্রাম্পের নয়, ভারতে সবচেয়ে বেশি মানুষ বঙ্গবন্ধুর সমাবেশে

পূর্বকোণ ডেস্ক

২ মার্চ, ২০২০ | ২:০৯ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারতের মাটিতে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তিনিই সবচেয়ে বেশি মানুষের জমায়েতে বক্তব্য দিয়েছেন। তবে ভারতের

লোকসভার সদস্য ও কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, ট্রাম্পের এই দাবি সঠিক নয়। ভারতে সবচেয়ে বেশি মানুষের জমায়েতে ভাষণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

দুই দিনের ভারত সফরে ২৪ ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদে পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ওই দিন নবনির্মিত মোতেরা স্টেডিয়ামে এক লাখ লোকের উপস্থিতিতে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন তিনি। এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত ছিলেন। সফর শুরুর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাকে স্বাগত জানাতে ৭০ লাখ মানুষ উপস্থিত হবেন। যদিও স্টেডিয়ামটিতে প্রায় ১ লাখ লোক উপস্থিত ছিলেন।

স্টেডিয়ামে ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষের উপস্থিতিতেই সন্তুষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। যদিও তার ৩০ মিনিটের ভাষণ শেষ হওয়ার আগেই এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ চলে যান। আর ট্রাম্পের পর মোদির ভাষণের আগে তৃতীয়াংশ চলে যায়।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী ২৬ ফেব্রুয়ারি এক টুইটে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন গুজরাটের স্টেডিয়ামে তিনি যে সমাবেশ করেছেন তা ভারতে যে কোনও বিদেশি রাষ্ট্র প্রধানের সবচেয়ে বড় সমাবেশ। আমি সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেডে ১০ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাগত জানাতে।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রথম ভারত ও বিদেশ সফর। ৬ ফেব্রুয়ারির সমাবেশ নিয়ে পরের দিনের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতার সব পথ সেদিন মিলেছিল প্যারেড গ্রাউন্ডে। বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেন, সেই ভাষণ কেবল সেই নির্ধারিত ময়দানে নয়, সারা কলকাতা ও হাওড়ার ১০টি পার্কে লাখো মানুষ শুনছিল।

এটিকে ভারতের ইতিহাসের বৃহত্তম জনসভা হিসেবে আখ্যায়িত করে পত্রিকার খবরে আরও লেখা হয়, কলকাতা ও হাওড়ার ১০টি পার্কে একইসঙ্গে লাখো জনতা সেদিন বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনেন। প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় এসব পার্কে লাউড স্পিকার লাগানো হয়। রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে লোক এসেছে সেদিন বঙ্গবন্ধুকে একনজর দেখবে বলে। জনসভা শেষ হওয়ার পরেও প্যারেড গ্রাউন্ডের দিকে মানুষের ঢল থামেনি। তবে আহতের সংখ্যা নিয়ে বিপরীতমুখী তথ্য পাওয়া গেছে।ছয় থেকে ১১ জন আহত হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে ৭ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, গণহত্যার উদ্দেশ্যে এ অভিযান পরিচালনা করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তবে মিয়ানমার গণহত্যার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

শেয়ার করুন