গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করার পরও এই অপরাধ কমেনি। আর এই ফাঁসি মধ্যযুগীয় শাস্তি। পৃথিবীর কোথাও ফাঁসি দিয়ে কোনো পরিবর্তন হয়নি। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদ’ অয়োজিত মানববন্ধনে আজ শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকালে তিনি এসব কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সংবিধানে কথা বলার, রাজনীতি করার, সংগঠন করার অধিকার আছে। কিন্তু তা করতে দেয়া হচ্ছে না। জনগণকে প্রকৃত মানবিক ও সুষ্ঠু গণতন্ত্র এবং সবাইকে কথা বলার অধিকার দিতে হবে। সুষ্ঠু ও মানবিক গণতন্ত্র ছাড়া মুক্তির কোনো পথ নেই। দেশে গণতন্ত্রের নামে ভিন্ন কিছু প্রতিষ্ঠিত হতে চলছে।

বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, কেন আমার ভোট আমি দিতে পারি না। পরিবর্তনের জন্য জনগণেরও একটা দায়িত্ব আছে। বিরোধী দলগুলোর ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।

সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী এবং সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদের (কারাগারে থাকা) বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার বিষয়ে জাফরুল্লাহ অভিযোগ করেন, শুধু কথা বলার কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ যারা লাখো-কোটি টাকা পাচার করেছে, তাদের জামিন আগেই হয়ে যায়। এই সরকারের সকল কর্মকাণ্ড গণতন্ত্রবিরোধী। আমাদের সংবিধানে আমার কথা বলার অধিকার আছে, আমার সংগঠন করার অধিকার আছে, আমার বক্তব্য দেওয়ার অধিকার আছে জনগণের কাছে। সেটা আমাকে করতে দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। আজকে ভিন্ন নামে বাকশাল দেশে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। এটা চলতে পারে না। জনগণকে আজ কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। এ জাতীয় বাধা দেয়ার কারণে কী হয়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতগুলো কাজ আপনি করছেন ক্রমেই তা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে।

পূর্বকোণ/আরপি