চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গণধর্ষণে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা

মোহাম্মদ আলী

৬ অক্টোবর, ২০২০ | ২:১৩ অপরাহ্ণ

ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার অন্য কারণ তথ্য প্রযুক্তির আগ্রাসন। তথ্যপ্রযুক্তির দরুণ ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মনোবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানীদের অভিমত এটি।
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রামের দুই উপজেলা রাঙ্গুনিয়া ও পটিয়ায় পৃথক দুইটি এবং নগরীর আগ্রাবাদ সুপারিওয়ালা পাড়ায় অপর একটি ধর্ষণের ঘটনা বিবেকবান মানুষকে নাড়া দিয়েছে। যদিও পুলিশি তৎপরতায় ইতোমধ্যে তিন ধর্ষকসহ ৫ জন গ্রেপ্তার হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়ে গেছে। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে সংঘটিত এ তিনটি ধর্ষণের ঘটনায় দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। জঘন্য এ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দরকার অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা বেশি দরকার।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে সিলেট এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে সংগঠিত এসব ঘটনা লোমহর্ষক ও অচিন্তনীয়। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে ফেসবুক ও টুইটারে। এসব ধর্ষণের ঘটনায় মনোবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানীরা কি ভাবছেন তার কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর আফজল হোসেন এ প্রসঙ্গে দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘পারিবারিক শিক্ষার অভাবে বখে যাওয়া কিশোররা অপরাধ প্রবণতায় ঝুঁকে পড়ছে বেশি। এ ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির আগ্রাসন কম দায়ী নয়। সেখানে ধ্বংসাত্মক চিত্র দেখে কিশোররা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের দিকে পা বাড়াচ্ছে। তাই এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দরকার সন্তানদের পারিবারিক শিক্ষায় গড়ে তোলা। তাদের অবহেলা না করে আদর-যত্ন ও সুশিক্ষায় বড় করা। একই সাথে অপরাধ প্রবণতা কমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সবসময় সক্রিয় থাকা এবং অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে।’
একই প্রসঙ্গে সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মো. ওবায়দুল করিম দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘যারা অপরাধী, তারা কেন অপরাধ সংঘটিত করছে তা চিহ্নিত করতে হবে। একই সাথে এ জায়গায় কঠোর আইন হতে হবে। এ দুইটি বিষয় যথাযথভাবে প্রয়োগ হলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা অনেকখানি হ্রাস পাবে। তাছাড়া অপরাধের চেইন রয়েছে। এটিরও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাহলে সমাজ থেকে ধর্ষণসহ বড় বড় অপরাধগুলো কমে আসবে।’

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট