গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচারের পর জ্ঞান ফিরেছে। তার অবস্থার স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। সূত্র আরো জানায়, ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই অপারেশন থিয়েটার থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। রাতেই তার জ্ঞান ফিরে এসেছে। তিনি বর্তমানে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।
অস্ত্রোপচার শেষে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরোসার্জন ও গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তার মাথার ভাঙা হাড়ের ৭-৮ টুকরা অস্ত্রোপচারে জোড়া দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আঘাতের কারণে আরও ছোট ছোট যে কাটা ছিল সেগুলোও ঠিক করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত প্রায় ৩ টার দিকে সরকারি বাসভবনে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রংপুরে পাঠানো হয়। ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকে আইসিইউতে ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ওয়াহিদা খানমের বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
হামলার ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে শুক্রবার ভোরে যুবলীগ নেতাসহ ২ জনকে আটক করেছে র্যাব ও পুলিশের যৌথ দল।
পূর্বকোণ/পিআর