দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে দিনাজপুরের হাকিমপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মূল হামলাকারী আসাদুল ওরফে আরশাদুল ইসলাম ও তার সহযোগী জাহাঙ্গীর হোসেন।
আরশাদুল ইসলাম ঘোড়াঘাট উপজেলার রানিগঞ্জের আমজাদ হোসেনের ছেলে। আর জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার ওসমানপুর সাগরপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে। জাহাঙ্গীর ২০১৭ সাল থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ আর র্যাবের যৌথ অভিযানে তারা ধরা পড়ে। তারা দু’জন ইউএনওর বাসায় ঢোকেন। সিসিটিভিতে তাদেরই দেখা গেছে।
ওসি জানান, হামলায় জড়িতদের দুজনই মাদকাসক্ত। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোররাত পৌনে পাঁচটার দিকে গোপন তথ্যে পুলিশের একটি দল হাকিমপুর উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকায় বোনের বাসা থেকে আরশাদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাহাঙ্গীরকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর ওই হামলা চালানো হয়।
গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকার এনে জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাতে অস্ত্রোপচার শেষে চিকিৎসকরা বলেছেন, ওয়াহিদা খানমের অবস্থা ‘আশাব্যঞ্জক’।
পরে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তির পর বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।
এদিকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় তার বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
পূর্বকোণ/পিআর