চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

৩১ আগস্টের আগে কমছে না বাসের বর্ধিত ভাড়া

৩১ আগস্টের আগে কমছে না বাসের বর্ধিত ভাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ আগস্ট, ২০২০ | ৯:২৯ অপরাহ্ণ

মহামারী করোনার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ বেশকিছু শর্তে বর্ধিত ভাড়ায় গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এরমধ্যে পূর্বের স্বাভাবিক ভাড়ায় গণপরিবহন চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদে প্রস্তাবনা পাঠাবে বিআরটিএ। সে সিদ্ধান্ত অনুমোদন পেলে তবেই ১ সেপ্টেম্বর থেকে আগের ভাড়ায় গণপরিবহন চলাচল করবে।

আজ বুধবার বিকেলে বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিআরটিএর উপ-পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) আব্দুর রাজ্জাক জানান, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাসের দুই সিটের জায়গায় সিটে একজন করে বসবে এবং বর্ধিত ভাড়ার যে নির্দেশনা সেটাই বলবৎ থাকবে।

৩১ আগস্টের পর থেকে যাতে আগের ভাড়ায় বাসে যাতায়াত করে সে সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে আমরা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। ভাড়া কমানোর প্রস্তাবনায় পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবি, সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগগুলোও উল্লেখ থাকবে।

প্রস্তাবনার পাশাপাশি দুই সিটেই যাত্রী বসার প্রস্তাবনা থাকবে। তবে এক্ষেত্রে প্রত্যেক যাত্রীর জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, গাদাগাদি করে যাত্রী না তোলা এবং সুরক্ষার সব ধরনের ব্যবস্থা গণপরিবহনে রাখার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলোও তুলে ধরা হবে প্রস্তাবনায়। বর্ধিত ভাড়াই কার্যকর থাকবে নাকি পূর্বের মতো স্বাভাবিক যে ভাড়া সেটা কার্যকর হবে সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিপরিষদ।

বৈঠকে অংশ নেয়া বাংলাদেশ বাস পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, বর্ধিত ভাড়ার যে নির্দেশনা সেটার কিছু তো ব্যত্যয় ঘটেছেই। তবে বিআরটিএ বা হাইওয়ে পুলিশ কিংবা জেলা পুলিশ তো সেটা কন্ট্রোলও করতে পারেনি বা দেখভাল করা সম্ভবও নয়। তাছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে বর্ধিত ভাড়ার নির্দেশনার কারণে যাত্রীদেরও তো অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়েছে। কিন্তু খেয়াল করুন সবই চলছে স্বাভাবিক নিয়মে। সিএনজি, লেগুনা, প্রাইভেটকার সব জায়গায়ই তো গাদাগাদি। শুধু বাস নিয়েই বেশি সমালোচনা বা প্রশ্ন উঠছে।

তিনি বলেন, আমরা দাবি জানিয়েছি যে, আগের ভাড়ায়ই ফিরে যাওয়া হোক। এক্ষেত্রে যাত্রীরাও অতিরিক্ত ভাড়া থেকে বাঁচবেন আবার গণপরিবহনের শ্রমিকরাও বাঁচবেন। এক্ষেত্রে আমরা মাস্ককে বাধ্যতামূলক করার কথা বলেছি। ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষা নীতি মানাসহ গাদাগাদি করে কোনো পরিবহনে যেন যাত্রী না ওঠে সেটা নিশ্চিত করার কথা বলেছি।

পূর্বকোণ/ এস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট