চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

যুগ্ম সচিব পদে একদিনেই পদোন্নতি পেল ১২৩ কর্মকর্তা

সাধারণ ছুটিতেও খোলা থাকবে ১৮ অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ এপ্রিল, ২০২০ | ৭:১০ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে ৫ মে পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে সরকারি-বেসরকারি অফিসে সাধারণ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে এবার অন্যান্য জরুরি সেবার পাশাপাশি ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম ঢাকা ও সারা দেশে সীমিত পর্যায়ে খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া ওষুধশিল্প, উপাদন ও রপ্তানিসহ সব কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) এ বিষয়ে দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাধারণ ছুটির সময় ঢাকাসহ সব বিভাগ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খোলা থাকবে।

যেসব অফিস খোলা থাকবে সেগুলো হল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, কৃষি, বাণিজ্য, খাদ্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন, সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং মস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, অন্য সব সরকারি অফিসের কর্মকর্তারা এই সময়ে আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন।

যা যা ছুটির আওতার বাইরে

অন্যদিকে ছুটির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি সেবা যেমন বিদ্যু, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থল, নদী ও সমুদ্র বন্দর) কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং সংশ্লিষ্ট সেবাকাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির বাইরে থাকবেন। সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের পণ্য পরিবহনের সঙ্গে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল ইত্যাদি) চলাচল অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এই ছুটি প্রযোজ্য হবে না। চিকিসা সেবায় নিয়োজিত চিকিসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী এবং গণমাধ্যমে (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক) নিয়োজিত কর্মীরা এই ছুটির আওতাবহির্ভুত থাকবেন। এছাড়া ওষুধশিল্প, উপাদন ও রপ্তানিসহ সব কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্প কারখানা, কৃষি ও উপাদন ও সরবরাহব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো ও গণপরিবহন পর্যায়ে উন্মুক্ত করা হবে। ছুটির সময় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না। তবে জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলো খোলা থাকবে। এ ছাড়া মানুষের প্রয়োজন বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট