টেকনাফের হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই ছাত্রের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক ছাত্রের ছুরিকাঘাতে অপর এক ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বিদ্যালয়ের বাথরুমে ৯ম শ্রেণির মানবিক শাখার ছাত্র ওয়াব্রাং এলাকার দুবাই প্রবাসী আব্দুল্লাহর ছেলে ওমর খলিল (১৫) এবং একই স্কুলের ছাত্র দক্ষিণ-পশ্চিম ফুলের ডেইলের জাফর আলমের ছেলে মোহাম্মদ সাবের (১৮) এর মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষকালে সাবের তার সহপাঠী ওমর খলিলকে পেঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকগণ বিষয়টি জানতে পেরে রক্তাক্ত ওমর খলিলকে উদ্ধার করে হ্নীলা স্টেশনের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

জানতে চাইলে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আব্দুস সালাম বলেন, আজ মঙ্গলবার থেকে স্কুলের ১ম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ১ম সেকশানের পরীক্ষা শেষে ২য় সেকশানের পরীক্ষা শুরুর প্রস্ততি নিয়ে আমরা সকলে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ এ ঘটনার খবর শুনে আমরা হতভম্ব হয়ে পড়ি। আহত ছাত্রকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি বিদ্যালয় প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন মহলের সাথে পরামর্শক্রমে আগামীতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

স্কুলের পার্শ্ববর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ ও সচেতন মহলের ধারণা, এমন কি হয়েছে দুই সহপাঠীর মধ্যে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটতে পারে। ঘটনাটি অনেকে পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করছেন। তা না হলে একজন শিক্ষার্থীর হাতে ছুরি কেন? কলমের পরিবর্তে কি ছুরি নিয়ে স্কুলে যায়? এমন প্রশ্ন অভিভাবকদের মুখে মুখে। স্কুল ছাত্রের হাতে আরেক ছাত্র ছুরিকাঘাতের খবরে সাধারণ অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এডভোকেট রশিদুল আলম চৌধুরী বলেন, দুই সহপাঠীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে আহত শিক্ষার্থী কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে খতিয়ে দেখে একাডেমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ