রাউজানে দীঘি হতে মো. জাফর (৪০) নামে এক রিকশা চালকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ১৭ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে রাউজান থানা পুলিশ উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের মহামুনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের দীঘি হতে এই লাশ উদ্ধার করেন।পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অর্পিতা মুৎসুদ্দি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিহত মো. জাফর উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ৭ নম্বর খানপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহীমের ছেলে। 

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা জানান, গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে রিক্সা চালক জাফর এসে দীঘির পড়ের অবস্থিত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দরজা-জানালায় আঘাত করছিল। আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা এসে দেখে তিনি মাতাল অবস্থায় চিৎকার করছিল। তাকে সবাই বাড়ি চলে যেতে বললে তিনি হাসপাতালে বারান্দায় বসে থাকে। পরে সকালে ১০ টার দিকে দীঘির উত্তর-পূর্বকোণে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায়। তার পরিবারে খবর দিলে খানপাড়ার লোকজন এসে লাশটি দীঘি হতে তুলে নিয়ে যাওয়া পথে অনিরুদ্ধ বড়ুয়া অনি শিশু পার্কের সামনে হতে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

খানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনছুর আলী খান বলেন ‘রাউজান থানার ওসিসহ পুলিশের একটি দল ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে মো. জাফরের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন। পুলিশ জানিয়েছেন তার মাথায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। তার লাশ এখনও (রাত ৮টা) মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার পরিবার মামলা করবে।

এই প্রসঙ্গে জানতে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন ‘আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তোলা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করি। তার কপালের বামপাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে, তার মুখে এলকোহলের আলামত পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সে প্রচুর মদ পান করে। গতরাতেও মদ পান করে মাতাল হয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিৎকার করছিল। এসময় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা তাকে আঘাত প্রাপ্ত ও মাতাল অবস্থায় দেখেন। সকালে দীঘি হতে তার লাশ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্বকোণ/জাহেদ/আরআর