চট্টগ্রামের মিরসাইয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে দেশীয় অস্ত্রসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মিরসরাই থানা পুলিশ। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় মিরসরাই পৌরসভার শহিদের গ্যারেজের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মিরসরাইসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ২৩টি মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান মজুমদার।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মিরসরাই উপজেলা খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম খৈয়াছড়া গ্রামের আব্দুর রউফ সরদার ভূইয়া বাড়ির শামসুল আলমের পুত্র একরামুল হক (২৭), মঈন উদ্দিন মুন্সী বাড়ির মো. মুনসুরের পুত্র মো. ইসমাইল হোসেন তুহিন (২৩), বজলে সোবহানের বাড়ির রবিউল হোসেনের পুত্র মো. ওমর ফারুক (২৪), নজির আহম্মদ মৌলভী বাড়ির বদিউল আলমের পুত্র কলিম উদ্দিন প্রকাশ কালো ধন (৪২), পানু ভূইয়া বাড়ির রহিম উল্লাহর পুত্র মো. জামিল হোসেন প্রকাশ জেবল (৩৬), আব্দুল কাদের ভূইয়াঁ বাড়ির আমিনুর রহমানের পুত্র মো. ইকবাল হোসেন প্রকাশ আক্তার (৩৫), পশ্চিম পোলমোগরা এলাকার দুলা মিয়া হাজী বাড়ির নুরুল মোস্তফার পুত্র আরিফুল ইসলাম প্রকাশ রিমন (২৭), পূর্ব খৈয়াছড়া এলাকার মাহমুদুল হকের বাড়ির আবুল কালামের পুত্র মো. সাদিক হোসেন ড্রাইভার (২২), নুরুল আমজাদের বাড়ির নুরুল আফসারের পুত্র খাইরুল ইসলাম (২৯), মিরসরাই পৌরসভার মধ্যম মঘাদিয়ার বটতল এলাকার সাব মিয়ার বাড়ির ওমর ফারুকের পুত্র মো. এমরান হোসেন (২৭), হাইতকান্দি ইউনিয়নের তুলাবাড়িয়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের পুত্র জাঙ্গীর আলম আজাদ (৪৫)।

পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি একদল ডাকাত মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, লোহার পাইপ, লোহার কাটার, কাঠের লাঠিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তাদের ব্যবহৃত একটি হাইস গাড়ি চট্ট মেট্রো-চ-১১-৬৯০২ জব্দ করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান মজুমদার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রবিবার দিবাগত রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির উদ্দেশ্যে সমবেত হচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ডাকাতদের বিরুদ্ধে মিরসরাইসহ চট্টগ্রামের খুলশী, পতেঙ্গা ও পাহাড়তলী থানায় চুরি, ডাকাতি দস্যুতার অভিযোগে ২৩টি মামলা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনসহ গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/সময়/পারভেজ