চট্টগ্রাম বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫

কক্সবাজারে ওসি মঞ্জুরের বিরুদ্ধে হত্যা-চাঁদাবাজির দুটি পৃথক মামলা

কক্সবাজার সংবাদদাতা

২৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৪৬ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভূঁইয়া এবং তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে এবং একটি পুরনো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।

 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন মনছুর আলম মুন্না নামে এক সাংবাদিক।

 

অভিযোগে বলা হয়, ২৫ জানুয়ারি গভীর রাতে ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়ার নির্দেশে চকরিয়া থানার একদল পুলিশ কক্সবাজার শহরের দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের কার্যালয় থেকে সাংবাদিক মুন্নাকে তুলে নিয়ে যায়। পথে রামুর পানিরছড়া এলাকায় তাকে মারধর করা হয় এবং পরে থানায় নিয়ে আবার নির্যাতন করা হয়। এরপর দ্রুত বিচার আইনে চাঁদাবাজির একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২১ দিনের কারাভোগের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

 

বাদীর আইনজীবী সালাহ উদ্দীন আহমদ জানান, মামলার বাদী ওসি নিজেই এবং নিজেই রেকর্ডকারী কর্মকর্তা। এটি আইনবিরোধী এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদাহরণ।

 

পুরনো হত্যা মামলার অভিযোগ:

২০১৩ সালের সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। মামলাটি ২৬ জানুয়ারি কক্সবাজারের ঈদগাঁও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়।

 

বাদী পক্ষের অভিযোগ, চকরিয়া থানায় যোগদানের পর থেকে ওসি মনজুর ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেছেন। পত্রিকায় এসব নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিক মুন্নাকে অপহরণ ও নির্যাতন করেন।

 

ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার বিষয়টি তদন্তাধীন। নিজে বাদী হয়ে মামলা রেকর্ড করার ব্যাপারে তিনি দাবি করেন, রেকর্ডকারী কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে থানার কোনো সদস্য মামলা রেকর্ড করতে পারেন।

 

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

 

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ জানান, কেউ অন্যায় করলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওসমান গনি বলেন, কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকতার জাবেদ মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত করে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

পূর্বকোণ/এরফান/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট