রাউজানে দুইপক্ষের মধ্যে দু’দফায় মারামারি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আজ (২৩ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে প্রথমে সদরের উপজেলা চত্বরে, পরে মুন্সিরঘাটায় এ ঘটনা ঘটে।
উত্তরজেলা বিএনপির আহবায়ক, রাউজানের সাবেক সাংসদ গোলাম আকবর খোন্দকার সমর্থিত উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন ‘আমারা রাউজান উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী নবাগত ইউএনওর সাথে বেলা ১১টার দিকে সৌজন্যে সাক্ষাত করতে যাই। সাক্ষাতশেষে নেতাকর্মীরা ফেরার পথে উপজেলা চত্বর মাঠে কিছু দুষ্কৃতিকারী আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। এসময় তাদের সাথে আমাদের নেতাকর্মীদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এরপর আমরা মিছিলসহকারে মুন্সিরঘাটা হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় প্রায় ৩০-৫০ জন লোক আমাদের অতর্কিত হামলা করে। তারা আমার সাথেও ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। তাদের হামলায় আমাদের ৪-৫ জন নেতাকর্মী সামান্য আহত হয়। তিনি এই ঘটনার জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী গ্রুপের লোকজনকে দায়ী করে বলেন বিষয়টি আমরা থানার ওসিকে অবহিত করেছি। গিয়াস কাদেরের লোকজন রাউজানকে অস্থিতিশীল করতে এরকম হামলা চালিয়েছে। তবে এ নিয়ে মামলার কোন সিদ্ধান্ত এ পর্যন্ত আমরা নিইনি। পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে রাতের মধ্যে।’
এ প্রসঙ্গে রাউজান পৌরসভা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ মনজুরুল হক ও উত্তরজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি সাবের সুলতান কাজল বলেন ‘বৃহস্পতিবার বিএনপির একটি সংবাদ সম্মেলন ছিল। সেই সংবাদ সম্মেলনের কথা শুণে গোলাম আকবর খোন্দকার গ্রুপের বিএনপি নামধারী কিছু ব্যক্তি উপজেলায় জড়ো হয়। এর আগে থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা গহিরা চিটাগং কিংসের খেলোয়ারদের আগমন উপলক্ষে বরণ করতে প্রস্তুতি নিলে গোলাম আকবর খোন্দকারের কর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে তারা মুন্সিরঘাটায় এসে বিশৃংখল অবস্থা সৃষ্টি করে আমাদের শহীদুল ইসলাম, নবীসহ ৫-৬ জন নেতাকর্মীকে হামলা করে আহত করে। এতে যুবদল নেতা শহীদুল ইসলামের হাত ভেঙ্গে যায়।
এছাড়া যুবদল নেতা সাবের সুলতান কাজল বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা রাঙ্গামাটি সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। অবিলম্বে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এদিকে স্থানীয় কয়েকটি সূত্র জানা যায়, প্রথম দফা উপজেলা মাঠে এবং পরে মুন্সিরঘাটায় দুই গ্রুপের ব্যাপক বাকবিতন্ডা, মারধর ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় মানুষজন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।’
এ প্রসঙ্গে রাউজান থানার ওসি একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন ‘শুনেছি বিএনপির দুই পক্ষে মারামারি হয়েছে। তবে রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত কোন পক্ষ লিখিত কোন অভিযোগ করেনি।’
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ