চট্টগ্রাম বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

সীতাকুণ্ডে ৮টি শিপব্রেকিং ইয়ার্ড পরিদর্শনে জাপানি ব্যবসায়ী দল

সীতাকুণ্ড সংবাদদাতা

৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭:৪২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৮টি শিপব্রেকিং ইয়ার্ড পরিদর্শন করেছে চার সদস্যের জাপানি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল। গত সোমবার ও আজ মঙ্গলবার দুইদিনে দলটি উপজেলার বিভিন্ন ইয়ার্ড পরিদর্শন করে বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙা শিল্পের কার্যক্রম ও পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেন।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙা শিল্পের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করতে জাপানি ব্যবসায়ীদের চার সদস্যের একটি দল গত দুই দিনে সীতাকুণ্ডে অবস্থিত দেশের একমাত্র জাহাজ ভাঙা শিল্প এলাকার ৮টি শিপইয়ার্ড পরিদর্শন করেন।

 

চার সদস্যের এই দলে ছিলেন জাপানি ব্যবসায়ী জিএমএস মি. অমিত মালহোত্রা, জেএফই মি. শিমোদা জুনিয়া, মি. নাকা তাকাহিরো, মি. হিরোয়াসু ইচিকাওয়া।

 

তারা সীতাকুণ্ডে এসে একে একে এন.এন কর্পোরেশন শিপব্রেকিং ইয়ার্ড, এসএনটি শিপব্রেকিং ইয়ার্ড, মাস্টার এন্ড ব্রাদার্স শিপব্রেকিং ইয়ার্ড, মাহিনুর শিপ রিসাইক্লিং লি, পিএইচপি শিপব্রেকিং ইয়ার্ড, কেএসআরএম শিপব্রেকিং ইয়ার্ড এবং ফোর স্টার শিপব্রেকিং ইয়ার্ড পরিদর্শন করেন । এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাহিনুর শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের কর্মকর্তা মো. সাব্বির আহমেদ, মো. তানভীর প্রমুখ।

 

বারআউলিয়া সাগর উপকূলে অবস্থিত মাহিনুর শিপব্রেকিং ইয়ার্ড পরিদর্শনকালে জাপানি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা জানান, তারা জাপানে স্ক্র্যাপ জাহাজ বিক্রি এবং শিপব্রেকিং করেন। বাংলাদেশের অনেক ব্যবসায়ী তাদের কাছ থেকে স্ক্র্যাপ জাহাজ কিনে এনে এখানে কাটিং করেন। কিন্তু এর আগে তারা কখনো এখানে শিপব্রেকিং প্রত্যক্ষ না করায় তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ছিলো না। এ জন্য তারা সরেজমিনে এখানে এসে দুই দিনে অনেকগুলো শিপব্রেকিং ইয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন। এসব ইয়ার্ডগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইতোমধ্যে গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তর হয়েছে এবং আরো কয়েকটি গ্রিন ইয়ার্ডে পরিণত করার কাজ চলছে। পাশাপাশি শিপব্রেকিং করছে ইয়ার্ডগুলো। তারা এখানকার জাহাজ ভাঙা শিল্প বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করে ভবিষ্যতে আরো বেশি প্রতিনিধিসহ এই শিল্প এলাকায় পুনরায় আসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

 

 

পূর্বকোণ/সৌমিত্র/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট