চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

বান্দরবান সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি-বোমাবর্ষণ, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

বান্দরবান সংবাদদাতা

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ১২:৩৩ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি ও বোমাবর্ষণ চলছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টায় শুরু হয় গোলাগুলি ও বোমাবর্ষণ। থেমে থেমে এই গোলাগুলি আজ রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত চলছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে।

 

বেশ কয়েকটি গুলি ও মর্টারসেল এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও কোনাপাড়ার কয়েকটি ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

এদিকে, সংঘর্ষে টিকতে না পেরে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির ১৪ জনেরও বেশি সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের ধুমধুম বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত পথে আরও ৩০ জনেরও বেশি বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে ঢুকার জন্য অবস্থান নিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

 

ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা তুমব্রু সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সীমান্তে লাগুয়া স্কুলগুলো আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

এদিকে, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি নিরাপত্তা বাড়িয়েছে সীমান্তে। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।

 

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, সীমান্তে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রশাসন থেকে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সীমান্তের দিকে নজর রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সাথে সে দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমূল সংঘর্ষ চলছে। এ সংঘর্ষের জের ধরে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তেও উত্তেজনা চলছে। মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দখল করে নিয়েছে মিয়ানমারের তুমব্রু ক্যাম্পটি।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট