চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে নিশা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে নিহতের পিতার দাবি যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে স্বামী এবং শাশুড়ি মিলে হত্যা করেছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কামিয়ার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পিতা সবুজ মিঞা পূর্বকোণকে বলেন, গত সাড়ে তিনমাস আগে মেয়েকে বিয়ে দেন ঢেমশা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের জালাল আহমদের ছেলে মোরশেদুল আলমের সাথে। বিয়ের পর দু’মাস আমার বাড়িতে ছিল, গত এক মাস আগে শশুর বাডিতে নিয়ে যায়। তারপর থেকে তার স্বামী মোর্শেদ এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি ২২ হাজার টাকা দিই এবং বাকি টাকা দিতে না পারায় প্রতিদিন আমার মেয়েকে তারা মারধর করত। আমার মেয়ে আমাকে এবং তার মাকে প্রতিদিন ফোন দিতে থাকে নিয়ে আসার জন্য। যৌতুকের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আমার মেয়েকে তারা মেরে ফেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা বলে মিথ্যাচার করছে। আমি এ ঘটনায় হত্যা মামলা করব।
কেরানিহাট আশ-শেফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডা. খায়রুল ইসলাম রিজভী বলেন, নিশা নামে একজন নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আমরা প্রাথমিকভাবে তার গলায় কিছু দাগ দেখতে পাই, তাই ধারণা করছি আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, সাতকানিয়ায় এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আত্মহত্যা। তবে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
পূর্বকোণ/মুন্না/জেইউ/পারভেজ