১৯৭১ সালে পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির একটি লিয়াজোঁ অফিস ছিল চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৮ নম্বর এম এম আলী রোডে। ভবনটি ছিল দ্বিতল। উপর তলায় বাস ভবন। নিচতলায় অফিস। সেখানে প্রকৌশলী আহমেদুর রহমান কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনী তাঁকে অফিস থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোজাখুঁজি করেও তাঁর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর বাঁশখালীর বাণীগ্রামে নির্মিত শহীদ স্মৃতি স্তম্ভের ৬৩ নম্বর ক্রমিকে তাঁর নামটি লিপিবদ্ধ হয়েছে ভুলভাবে। পিতার নাম আলী চাঁদ মাস্টার এবং গ্রামের নাম বড়ইতলী ঠিক থাকলেও প্রকৌশলী আহমেদুর রহমানের স্থলে লিখা হয়েছে মাহমুদুর রহমান। ২০১৪ সালে বাণীগ্রামের প্রধান সড়কের পাশে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমে তাঁর নাম লিখা হয় আবদুর রহমান। যিনি শহীদ আহমেদুর রহমানের ছোট ভাই। বর্তমানে তিনি আমেরিকার ফ্লোরিডায় বসবাস করছেন। স্মৃতিস্তম্ভে প্রথম নামটি সংশোধন করে লিপিবদ্ধ করা হয় মাহমুদুর রহমান। এটিও ভুল। শহীদ প্রকৌশলী আহমেদুর রহমানের নামটি সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ না হওয়ায় পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে। তারা স্মৃতিস্তম্ভে তাঁর নামটি সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করার জন্য বাঁশখালী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে বিশেষভাবে অনুরাধ জানিয়েছেন।
পূর্বকোণ/পিআর