চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

চন্দনাইশে ৮টি ব্রিজ ও সড়ক সম্প্রসারণ কাজ এ মাসেই

মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ

৪ জুন, ২০২৩ | ৬:৩২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পটিয়া ইন্দ্রপুল থেকে চন্দনাইশের মৌলভীর দোকান পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হবে এ মাসেই। এর মধ্যে চন্দনাইশ অংশ তথা মোজাফ্ফরবাদ থেকে দোহাজারী শঙ্খ নদীর ব্রিজ পর্যন্ত ১০টি সেতুর মধ্যে ৮টির সংস্কার ও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ।

জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ অংশ তথা মোজাফ্ফরবাদ থেকে দোহাজারী শঙ্খ নদীর ব্রিজ পর্যন্ত ১০টি সেতুর মধ্যে অধিকাংশ সেতুই সড়ক সংস্কারকালে নির্মাণ করা হয়েছিল। বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় গেইট, মেডিকেল কলেজ গেইট, রৌশনহাট ব্রিজ, কাঞ্চনাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রিজ, বাদামতল ও পাক্কা দোকান সংলগ্ন ব্রিজ, জোয়ারা রাস্তার মাথা সংলগ্ন গুইল্লাছড়ি খালে ব্রিজ, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ গেইট সংলগ্ন মরা খালের উপর ব্রিজ, খানদিঘির উত্তর কোণায় ও পাঠানিপুলসহ ১০টি ব্রিজ পুরাতন অবস্থায় রয়েছে। এ ব্রিজগুলো সড়ক সংস্কারকালে বিভিন্ন সময় নির্মাণ করা হলেও দীর্ঘ সময় ধরে সংস্কার করা হয়নি।

সড়ক সম্প্রসারণকাজ শুরু হলে ব্রিজগুলো ছোট থাকার কারণে সংস্কার তথা সম্প্রসারণ জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল গেইটস্থ কালভার্ট ব্রিজ, কাঞ্চননগর বাদামতল ও পাক্কা দোকান সংলগ্ন ব্রিজ দুটি, খানদিঘির উত্তর কোণায় কালভার্ট ব্রিজ অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ বলে স্থানীয়রা জানান। এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেছেন, যেহেতু সড়ক সংস্কার হচ্ছে, সেহেতু ব্রিজগুলো সম্প্রসারণের প্রয়োজনে নতুনভাবে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

দিন দিন এ সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে, তাই সড়কটি ৬ লাইনে উন্নীত করার কোন বিকল্প নেই। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ। আপাতত যানজট নিরসন করে জনদুর্ভোগ কমাতে সড়কটি প্রশস্ত করে ১৮ ফুট থেকে ৩৪ ফুটে উন্নীত করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে গাছবাড়িয়া মাজার পয়েন্ট ব্রিজ, দোহাজারী শঙ্খ নদীর উপর নবনির্মিত সাংগু ব্রিজ, পটিয়া ইন্দ্রপুল ব্রিজ ও মাতামুহুরী নদীর উপর ব্রিজ ৪টি ৬ লাইনে নির্মাণের ফলে ব্রিজের উভয় পাশে ৬ লাইনের সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে যানজটমুক্ত হয়েছে চন্দনাইশের দোহাজারী, মাজার পয়েন্ট ব্রিজ ও মাতামুহুরী ব্রিজ এলাকা।

কমলমুন্সী হাট থেকে মৌলভীর দোকান পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড টু লেনে প্রশস্ত করলে অনেকগুলো বাঁক সরলিকরণ হবে ও সড়কে যানজট কমে গতি বাড়বে। ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ বান্দরবান, কক্সবাজার জেলার লক্ষাধিক যাত্রীর যাতায়াতের সময় সাশ্রয় হবে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের এ অংশে সংস্কার না হওয়ায় রওশনহাট, খানহাট, বাগিচাহাট, দেওয়ানহাট, মৌলভীর দোকান এলাকায় এখনো প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে। সড়ক প্রশস্ত হলে বেড়ে যাবে গাড়ির গতি, যানজটমুক্ত হয়ে সড়কে সহজেই কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে যাত্রীরা।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট