চট্টগ্রাম বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

আনোয়ারায় প্রবাসী বন্ধুকে টাকা ধার দিয়ে বিপাকে যুবক

আনোয়ারা সংবাদদাতা

২০ মে, ২০২৩ | ১০:৩৯ অপরাহ্ণ

বন্ধু মোকাররম হোসেনের (৩৫) সুবাদে পরিচয় তার পরিবারের সঙ্গে। ধীরে-ধীরে আস্তা জমিয়ে বিভিন্নস্থানে কিনেন জমিও। আর এসব জমির দলিলপত্রে রাখা হয় সাক্ষী। বিশ্বস্ততার একপর্যায়ে হয় টাকা লেনদেনের সম্পর্ক। এ সম্পর্কের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মোকাররম ও তার স্ত্রী নাহিদা আকতার সুইটি (২২) জমি কেনার জন্য চেক দিয়ে নেন মোটা অংকের ২০ লাখ টাকা। সে টাকা তুলতে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন নেই চেকের একাউন্টে টাকা।

 

বিষয়টি জানার পর স্বামী-স্ত্রী আশ্বস্ত করেন ফেব্রুয়ারি মাসে ফিরিয়ে দিবেন পাওয়া টাকাগুলো। কিন্তু টাকা ফিরিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও স্বামী-স্ত্রীর বিরোধের জেরে আটকে পড়ে ধারের ২০ লাখ টাকা। আর কোনো উপায় না পেয়ে গত ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম আদালতে চেক প্রতারণার মামলা করেন মহিন উদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবক।

 

ঘটনাটি আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. নাসির উদ্দীনের ছেলে মহিন উদ্দিন নামে এক যুবকের সঙ্গে। এ ঘটনায় গত ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নাহিদা আকতার সুইটির বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলা করে বিপাকে পড়েছেন সে যুবক। তাদের স্বামী-স্ত্রীর বিরোধে আটকে গেছে তার পাওনা টাকাগুলো। এছাড়াও মামলার নোটিশ পাওয়া মাত্রই উল্টো আদালতে মহিন উদ্দিন ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা করেন বন্ধু মোকাররম হোসেন।

 

তবে পাওনা টাকার বিষয়ে অভিযুক্তের স্বামী প্রবাসী মোকাররম হোসেন স্বীকার করলেও অস্বীকার করছেন স্ত্রী নাহিদা আকতার সুইটি। তাদের স্বামী-স্ত্রীর বিরোধকে কেন্দ্র করে টাকা না দেয়ার জন্য নাটক সাজিয়েছেন বলে দাবি করছেন মামলার বাদী মহিন উদ্দিন।

 

অভিযুক্ত সুইটি উপজেলার বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের আবদুল লতিফের মেয়ে ও বরুমচড়া ইউনিয়নের বরুমচড়া গ্রামের মোকাররম হোসেনের স্ত্রী।

 

মামলার বাদী মহিন উদ্দিন জানান, বন্ধু মোকাররম হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। সে প্রবাসে থাকাকালীন উত্তর বন্দর এলাকার মহালখাঁন বাজারে ২ গন্ডা জমি কেনার জন্য টাকার প্রয়োজন পড়লে আমাকে জানানোর পর আমি আমার আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ধার করে ২০ লাখ টাকা ব্যবস্থা করে দিই। মোকাররম বিদেশ থাকায় তার স্ত্রী সুইটি একটি চেক দেন। এখন টাকাগুলো চাওয়ায় তারা ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে আমাকে।

 

অভিযুক্তের স্বামী প্রবাসী মোকাররম হোসেন টাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার জমি কেনার জন্য টাকাগুলো মহিনের কাছ থেকে নিয়েছিলাম। তখনই আমি প্রবাসে থাকার কারণে আমার স্ত্রী একটি চেক দিলেছিলো তাকে। আমি এখনও প্রবাসে, তবে টাকাগুলো আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম দিয়ে দেওয়ার জন্য। প্রয়োজনে আইনের সহযোগিতা নেওয়ার জন্যও বলেছিলাম মহিনকে।

 

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মুহাম্মদ হাছান বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আদালতের নির্দেশে তদন্ত চলছে।

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট