বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ও প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে কার্প জাতীয় (রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালবাউস) মা মাছেরা আবারও নমুনা ডিম ছেড়েছে।
শুক্রবার (১৯ মে) রাতে দেড়টার দিকে হালদা নদীর আজিমের ঘাট, পোড়াকপালি স্লুইচগেট, কাগতিয়া, সিপাহির ঘাট, নয়াহাট, কান্তর আলী চৌধুরী ঘাট, মাছুয়াঘোনা, অংকুরীগুনা এলাকায় ৮/১০টি এবং কোন কোন স্থানে ৫০ গ্রাম করে নমুনা ডিম পেয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা ।
এবছর তীব্র দাবদাহ ও ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বৃষ্টি ও বজ্রপাত না হওয়ায় এবং হালদা নদীতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় ডিম ছাড়তে পারছে না বলে মনে করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহিদুল আলম বলেন, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দ্বিতীয় দফায় মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে। তবে তা পরিমাণে খুবই কম।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, নদীতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেশি হওয়ায় কারণে এবার নমুনা ডিম ছাড়তে দেরি হয়েছে। বজ্রবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল নামলে পুরোদমে মা মাছ ডিম ছাড়বে ।
ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগর বলেন, নদীর কয়েকটি স্থানে ৮/১০ টি করে ডিম পাওয়া গেছে। এগুলো নমুনা ডিম।
মাছুয়াঘোনা এলাকার ডিম সংগ্রহকার শফি জানান, রাতে নদীতে প্রথমে ১০-২০টি করে ডিম পাওয়া গেল পরে ৫০ গ্রাম করে মুনের ডিম পাওয়া যায়। পুরোদমে ডিম ছাড়ার আগে এ রকম নমুনা ডিম দেয় মা মাছ।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ