সাতকানিয়ায় সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে নেমে মো. সোহাদী হাসান সোহাগ নামে ছয় বছর বয়সী শিশু শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশু নিখোঁজ হয়।

সোমবার সকাল ১১টার দিকে নিখোঁজ হওয়ার ২১ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকাল ৮টার সময় নদী থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

সোহাগ উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের বিওসির মোড় এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে।

জানা যায়, সোমবার ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা ওই শিশুকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ্য হয়ে বিকেলে ইউএনও’র মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা জোয়ারের মধ্যে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেও শিশুটি উদ্ধার করতে পারেননি। সন্ধ্যায় উদ্ধার কর্মীরা অভিযানে বিরতি দেন। এরপর চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস থেকে তিনজন ডুবুরি এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অন্ধকারের কারণে উদ্ধার অভিযান শুরু করতে পারেননি। তারা পরের দিন মঙ্গলবার ভোরে উদ্ধার অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। সেমতে মঙ্গলবার ভোর থেকে উদ্ধার শুরু করে কোন সুফল না পেয়ে উদ্ধার কর্মীরা নদী হতে উঠে এসে নাস্তা করতে গেলে হঠাৎ লাশ ভেসে উঠে। পরে লাশ উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল গফুর বলেন, বালু উত্তোলনের কারণে সাঙ্গু নদীতে বিভিন্ন স্থানে বিশাল আকৃতির গর্তের সৃষ্টি হয়। এই গভীর গর্তের অথৈ জলের মধ্যে শিশু সোহাগ তলিয়ে গিয়ে মারা যায়।

সোহাগের বাবা মনিরুল ইসলাম বলেন, তাদের পৈত্রিক বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নে। তিনি হাইওয়ে রোডের একটি বাসের সুপার ভাইজার। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তারা ওই এলাকার ভাড়া বাসায় আছেন।

সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার হুমায়ুন কার্ণায়েন বলেন, খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে পানির স্রোতের কারণে উদ্ধার অভিযান সফল হয়নি। আমাদের তিনজনের একটি ডুবুরি দল এসেছে। মঙ্গলবার ভোরের আলোয় তারা উদ্ধার অভিযানে নামার পর লাশ পাওয়া যায়।

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ