চট্টগ্রাম শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

হাজার হাজার মানুষের স্বপ্নপূরণ

৬০ মিটার সেতুতে স্বস্তি ২ ইউনিয়নবাসীর

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুতুবদিয়া

২২ জুলাই, ২০২৩ | ৫:৪৮ অপরাহ্ণ

যুগ যুগ ধরে শুধু যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান, অবকাঠামো উন্নয়ন, উন্নত জীবনযাপনসহ সবদিক থেকে বঞ্চিত ছিল কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার দু’ ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ।

পশ্চিমে কৈয়ারবিলের সেন্টার স্টেশন ও পূর্বে লেমশীখালী ইউনিয়নের মতি বাপের পাড়াসহ ৪-৫টি গ্রামকে বিভক্ত করে রেখেছিল পিলটকাটা খাল। এই বিভক্ততার সংযুক্তি ঘটাতে গভীরতম ওই পিলটকাটা খালের বুকে নির্মিত হয়েছে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যরে দৃষ্টিনন্দন ‘লেমশীখালী ও কৈয়ারবিল সংযোগ সেতু’।

সূত্রে জানা যায়, বন্যা পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দীর্ঘ এ সেতুটি নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। নবনির্মিত এই সেতুটি সাদা-কালো রঙে সাজানো হয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর থেকেই বেড়ে গেছে স্থানীয়দের পদচারণা।

দ্বীপ সৃষ্টির পর থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্মের অসহায়ের মতো পার হওয়া গভীর খালের উপর সেতু নির্মাণের বদৌলতে লেমশীখালীর বেশ কয়েকটি গ্রামে সমৃদ্ধির ছোঁয়া বইছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে লেমশীখালী ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের অগণিত মানুষের। সেতুটির নির্মাণকাজের সূচনা হওয়ার পর থেকে উন্নত জীবনযাপন ও আধুনিকতার স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে আসছেন লেমশীখালীর ৪-৫টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।

সেতু নির্মাণের পর যত স্বস্তি! তবে নির্মাণের আগে গভীর ওই খাল দিয়ে লেমশীখালী থেকে উপজেলায় যাতায়াত করার পেছনের গল্প বেশ ভয়ংকর। মতি বাপের পাড়ার বাসিন্দা বশর আহমেদ বলেন, গভীর ওই খাল দিয়ে কখনো বড় বড় ডেকচির উপর বসে, আবার কখনো কলা গাছের ভেলা, কখনো বাঁশের ভুরে (স্তূপ) বসে পারাপার করতাম। এমনও হতো যে, সকালে খাল পার হলে বিকেলে কাজ শেষে খালে জোয়ারের পানি বাড়লে আর বাড়ি ফেরা হতো না। নির্ঘুম রাত কাটতো খালের পাড়ে। তবে দীর্ঘ কয়েক যুগ পর সেতু নির্মাণ হওয়ায় সে দুর্ভোগ আর ঝুঁকি কমছে। পাশাপাশি সেতু নির্মাণের পর জায়গা-জমির দাম হু-হু করে বাড়ছে বলে জানান তিনি।

লেমশীখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার হোছাইন জানান, কৈয়ারবিল ও লেমশীখালী সংযোগ সেতুটি হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় কয়েকটি গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এদিকে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ায় খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। পূর্বকোণকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলী মো. কফিল উদ্দিন কবির।

পূর্বকোণ/সাফা

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট