চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বুলেটের আওয়াজ ভেদ করে যেখানে শান্তির পরশ এঁকে দিচ্ছে ক্রিকেট

২ জুন, ২০১৯ | ২:০৬ পূর্বাহ্ণ

যে দেশে এখনও প্রতিদিন কেথাও না কোথাও আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্রাণ যাচ্ছে অসংখ্য মানুষের। যে দেশের মানুষের এখনও ভোরবেলায় আজানের শব্দের সঙ্গে ঘুম ভাঙে বুলেটের আওয়াজ শুনে, সেখানে পিস্তল, শটগান কিংবা একে-৪৭ দিয়ে রাতের আকাশের নিস্তব্ধতা খানখান করে ক্রিকেটের বিজয় উদযাপন হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। ক্রিকেটের এমনই এক সম্মোহনী ক্ষমতা! নানা জাতি আর গোত্রে বিভক্ত, যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ আফগানিস্তানকে এক সুতোয় এনে বেঁধে দিচ্ছে। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশটিতে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিচ্ছে ক্রিকেট। বিশ্বকাপের মঞ্চে যদি একটু ভালো করে বসতে পারে গুলবাদিন নাইবের দল, তাহলে নিশ্চিত আগামী দিনে অন্য এক আফগানিস্তানকে দেখতে পাবে সারা বিশ্ব। সে শুধুমাত্র ক্রিকেটের কারণেই।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ বিশ্ব ক্রিকেটে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে আফগানিস্তান। কেউ হয়ত ভাবেনি যে, যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি দেশ পরপর দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে নামবে। ক্রিকেটের এতো বড় আসরে খেললেও দেশটির কোন এক জায়গায় এখনো শোনা যাবে গুলি কিংবা বন্দুকের আওয়াজ; কিন্তু প্রিয় দেশকে সমর্থন করতে কোন বাধাই আটাকাতে পারবে না আর আফগানিস্তানের মানুষদের। দেশের যুদ্ধকে থামাতে ক্রিকেটকেই শান্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে আফগানরা। রশিদ খান-মোহাম্মদ নবিরা এখন সবার কাছে আইডলের নাম। তাদের দেখে দেখে এখন ক্রিকেটের প্রতি ঝুঁকছে দেশটির শিশু-কিশোররা। এবারের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে তাই আশায় বুক বাধছেন আফগানিস্তানের প্রতিটি মানুষ। জঙ্গি হামলা ও অর্থনৈতিক কারণে পাকিস্তানকে নিজেদের প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে আফগানরা। তাই বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচে তাদেরকে ৩ উইকেটে হারানোর পর উল্লাসে ফেটে পড়ে দেশটির ক্রিকেট ভক্ত মানুষ। চলছে রমজান মাস। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় রোজা রাখছেন সকল মুসলিম ধর্মালম্বী। ব্যতিক্রম নয় আফগান ক্রিকেটাররাও। তবে রোজা রেখেও বিশ্বকাপের জন্য কঠোর অনুশীলন করে যাচ্ছেন রশিদ-নবিরা। এ সম্পর্কে আফগান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আফগান খেলোয়াড়রা রোজা রেখেও কঠোর অনুশীলন করে যাচ্ছে। সে সঙ্গে প্রার্থনা ও ধর্মের প্রতি ভক্তিও চালিয়ে যাচ্ছে তারা।’ গতকাল শক্তিশালি অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল আফগানরা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট